শিরোনাম
ফরিদপুর, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস): জেলায় আজ ‘বাংলাদেশের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকায় পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রতিকূল প্রভাব প্রশমনে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভিযোজন প্রকল্প’ -এর আওতায় পেঁয়াজের উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়নে কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন, অর্থ ও অ্যাপার্ট সার্ভিসেস) ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে এ কর্মশালা সঞ্চালনা করেন পেঁয়াজ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান।
এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার তিনটি উপজেলার ৬০ জন কৃষক অংশগ্রহন করেন।
প্রকল্প পরিচালক ড. মাহফুজুর রহমান জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও উপযুক্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়। এর ফলে একদিকে যেমন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়, অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকে না এবং কৃষকরাও ন্যায্য দাম পান না। তিনি এয়ার ফ্লো মেশিনকে এই সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে উল্লেখ করেন। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব, যা দেশের পেঁয়াজ আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনবে এবং ভবিষ্যতে পেঁয়াজ রপ্তানির সুযোগ তৈরি করবে।
তিনি আরও জানান যে, এই প্রকল্পের অধীনে ফরিদপুরসহ দেশের ১৬টি জেলার ১০৭টি উপজেলায় ৩ হাজার ৭০০টি এয়ার ফ্লো মেশিন বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষকদের সরাসরি মেশিন না দিয়ে বরং জনপ্রতি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৭ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো কোম্পানির মেশিন কিনতে পারেন।
প্রশিক্ষণ চলাকালে ১০টি এয়ার ফ্লো মেশিনের গুণগত মান পরীক্ষা করে কৃষকদের সামনে ব্যবহারের পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।