বাসস
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫

খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে ফের এনজিওগ্রাম শুরু, রোগীদের স্বস্তি

খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস পর চালু হয়েছে এনজিওগ্রাম (ক্যাথল্যাব) মেশিন। ছবি: বাসস

খুলনা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে দীর্ঘ ৯ মাস পর চালু হয়েছে এনজিওগ্রাম (ক্যাথল্যাব) মেশিন। যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করে সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে তিনজন রোগীকে এই ক্যাথল্যাব সেবা দেওয়া হয়। স্বল্প মূল্যে সরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষার ফলে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

গত ১৫ নভেম্বর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় মেশিনটিতে। এরপর থেকে বন্ধ ছিল হাসপাতালটিতে হৃদরোগীদের এনজিওগ্রাম পরীক্ষা।

হাসপাতাল সূত্র জানান, মেশিনটির এক্স-রে টিউব বিকল থাকায় মেডিগ্রাফিক ট্রেডিং কোম্পানির মাধ্যমে আবারও সচল করা হয়। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন ও কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. ইকতিয়ার হোসেন ও ডা. স্বদেশ কুমার চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ এসব চিকিৎসকরা উপস্থিত থেকে মেশিনটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

জানা গেছে, খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালে মাত্র দুই হাজার টাকায় এ সেবা দেওয়া হয়। প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে মোট ১০ জন রোগী এ সেবা পেয়ে থাকেন। যে কারণে হাসপাতালটিতে রোগীর এনজিওগ্রাম পরীক্ষার জন্য সিরিয়াল সংখ্যা থাকে শত শত।

এ বিষয়ে ক্যাথল্যাব বিভাগের মো. খালেদ বলেন, সরকারি খরচে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটিমাত্র আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল। তবে, দীর্ঘদিন এই এনজিওগ্রাম পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বেশ ভোগান্তি হয়েছে রোগীদের।

চিকিৎসকরা জানান, মূলত কার্ডিওলজি রোগীর ধমনীতে ফুটো করে তাতে একটা ক্যাথেটার হার্ট পর্যন্ত ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ইশকেমিক হার্ট রোগ নির্ণয়ে এটি একটি সর্বাধুনিক নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা। এটি করার জন্য হাতের শিরা দিয়ে আয়োডিনযুক্ত কন্ট্রাস্ট ডাই প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। 

এরপর সিটি স্ক্যান মেশিনের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের রক্তনালি বা অন্য কোনো অঙ্গের রক্তনালি পর্যবেক্ষণ করা হয়। ধমনীর গায়ে চর্বি বা ক্যালসিয়াম জমে সরু হয়ে গেলে তা সহজেই বোঝা যায়। ধমনীর যে কোনো ধরনের ব্লক এই পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে। পরবর্তীতে চিকিৎসক ব্লককৃত জায়গায় রিং পড়িয়ে রোগীর চিকিৎসা করেন।

খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, আমরা বেশ কযেকবার অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দিয়ে এনজিওগ্রাম মেশিনটি মেরামত করার চেষ্টা করেছি, তবে সফল হতে পারেনি। মূলত এক্স-রে টিউব নষ্ট থাকায় বিলম্ব হয়েছে। যন্ত্রাংশটি জাপান থেকে আমদানি করা। এখন এনজিওগ্রাম মেশিন ভালো হয়েছে। রোগীদের সেবা দিতে ক্যাথল্যাব বিভাগ প্রস্তুত আছে।