শিরোনাম
ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা অবশ্যই জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি বলেন, তামাক যে, স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর সেটি প্রমাণিত সত্য। তামাক একটি প্রাণঘাতী দ্রব্য। ধূমপায়ী ব্যক্তি যেমন এই ক্ষতির শিকার, তেমনি আশেপাশে যারা থাকেন পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ধূমপায়ী হিসেবে তারাও ক্ষতির শিকার হন। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের করা অবশ্যই জরুরি।
আজ বিকেলে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে নারী মৈত্রী আয়োজিত ‘তরুণ-তরুণী, নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, তামাকের আগ্রাসনে দেশে প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। এতো মহামারি। একটা রাষ্ট্র এতটা উদাসীন হতে পারে না। তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাস নিয়ে সরকারের মধ্যে যে দ্বিমত আছে তা খণ্ডন করতে হবে। এই সংশোধনী পাস না হলে আমাদেরকেও কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলির সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শবনম মোস্তারী , স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আখতারউজ জামান, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. গোলাম মহিউদ্দীন ফারুক, শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স এন্ড প্লান্ট ব্রিডিং ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক তনুশ্রী হালদার, তামাক বিরোধী শিক্ষক ফোরাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. খালেদা ইসলাম, ইয়ুথ ফোরামের প্রতিনিধি তাসফিয়া নওরীন ও রাইসুল ইসলাম রিফাত বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে নারী মৈত্রী টোবাকো কন্ট্রোল প্রজেক্টের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাছরিন আকতার অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তুর ওপর উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা বলেন, তরুণ তরুণী, নারী ও শিশুরাই আগামীর কাণ্ডারি। আর নারীরা হলো সেই কাণ্ডারি গড়ার কারিগর। এই শিশু, তরুণ ও নারীদের সুস্থ রাখার অন্যতম শর্ত হলো তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা। এ লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো পাস হলে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।