শিরোনাম
নীলফামারী, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার উত্তরা ইপিজেডের অচলাবস্থার নিরসন হয়েছে। শ্রমিক নিহতের ঘটনার দুইদিন পর আজ বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা।
শ্রমিক ছাটাইয়ের জেরে অসন্তোষ দেখা দিলে গত মঙ্গলবার ইপিজেডের এভারগ্রিন নামের একটি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে সেদিন সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে না পেরে সামনের সড়ক অবরোধ করে। এসময় তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ থামাতে যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত হন হাবিব ইসলাম (২১) নামে এক শ্রমিক। এ ঘটনার পর ইপিজেডের সকল কারখানা বন্ধ হলে গতকাল বুধবার পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে।
সমস্যা নিরসনে গতকাল বুধবার শ্রমিক, কারখানা মালিক, বেপজা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে শ্রমিকদের ২৩ দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো কারখানা মালিক পক্ষ মেনে নিলে বৃহস্পতিবার থেকে ইপিজেডের সকল কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়।
উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার বলেন, ‘এভারগ্রিন নামে যে কারখানাটি থেকে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে, সেটি ছাড়া বাকি ২৬ টি কারখানা বৃহস্পতিবার সকালে খুলেছে। এভারগ্রিনের কারাখানা আগামী শনিবার খুলবে।
মঙ্গলবারের ঘটনায় বেপজার নির্বাহী পরিচালক (নিরাপত্তা) ঢাকা’কে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে’। ওই ইপিজেডে ২৭টি কারখানায় প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছে। আরও ছয়টি কারখানা উৎপাদনে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর সাঈদ বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা হয়নি। বিষয়টি উদ্ধর্তন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এভারগ্রিনের ৫১ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। এতে শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। নিহত হাবিব ইকু ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি নিটিং কারখানার শ্রমিক।