শিরোনাম
রাঙ্গামাটি, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় আখ চাষ করে সফলতা পেয়েছে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ার প্রান্তিক চাষীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২০২৫ রোপণ মৌসুমে আখ চাষ করে উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান এলাকায় ৯টি প্লটে আখ চাষ করে সফলতা পান এখানকার প্রান্তিক চাষীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় প্রান্তিক চাষীদের করা রেশম বাগান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি আখের বাগান। আখের ফলন ভালো হওয়াতে খুশি এখানকার চাষীরা। তারা এখন আখ কেটে ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করছেন এবং অনেকে কয়েকদিন আগে আখ বিক্রি করে দিয়েছেন।
আখচাষী মায়াদেবী তঞ্চঙ্গ্যা বাসসকে বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করি। এবার আখ চাষ অনেক ভালো হয়েছে। বাগান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস আখ ২২ থেকে ২৫ টাকা করে কিনে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে কিছু আখ বিক্রি করে দিয়েছি এবং বেশ লাভবান হয়েছি।
আখচাষী ইতি তঞ্চঙ্গ্যা বাসসকে বলেন, এই বছর আমি প্রায় ১ একর জমিতে আখ চাষ করেছি, মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে। আমি বিক্রি করে লাভবান হয়েছি।
প্রকল্পের পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ জোরদারকরণ প্রকল্পের কনসালটেন্ট ধনেশ্বর তঞ্চঙ্গ্যা বাসসকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সুগারক্রপ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২০২৫ রোপণ মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান তঞ্চঙ্গ্যা পাড়া এলাকায় ৯টি প্লটে এখানকার প্রান্তিক চাষীরা আখ চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে। এখানে কৃষকরা বিএসআরআই আখ-৪২ (রং বিলাস) জাতের আখ চাষ করেছেন। এটা খুবই মিষ্টি।
তিনি বলেন, প্রকল্প হতে প্রত্যেকটি প্লটে ১ বিঘা করে আখ চাষ করার জন্য চাষীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে আরো বেশী করে কৃষি জমিতে আখ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
পাহাড়ে সম্ভাবনাময় এবং লাভজনক আখ চাষে চাষীদের আগ্রহী করে তুলতে কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।