শিরোনাম
পটুয়াখালী, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার কুায়কাটার অন্যতম বন চর গঙ্গামতি। এ সংরক্ষিত বনে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বনখেকো চক্র। সংঘবদ্ধভাবে দিন-রাত নির্বিচারে বড় বড় গাছ কেটে পাচার করছে তারা।
আজ সোমবার সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে বনভূমি উজাড় হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে কেটে ফেলা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংঘবদ্ধ একটি চক্র কখনো দিনের আলোয়, আবার কখনো রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন উজার করা ঠেকাতে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম বলেন, যখন যার প্রয়োজন হয়, তখনই সে গাছ কেটে নেয়। কেউ সমুদ্রের স্রোতে ভেসে আসা গাছ কেটে বিক্রি করছে, আবার কেউ বনের বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এ বিষয়ে উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা) ১নং আহ্বায়ক আবুল হোসেন রাজু বলেন, ‘গঙ্গামতি সংরক্ষিত বন ধ্বংস হলে শুধু গাছই নয়, উপকূলের প্রাকৃতিক ঢালও ভেঙ্গে পড়বে। তিনি বলেন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় এ বনের গাছপালা ঢেউয়ের আঘাত ঠেকায়। বন রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে প্রশাসনের প্রতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই। এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে উপকূল ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, বন উজাড় হলে উপকূল ঝুঁকিপূর্ণ হবে। গাছের শেকড় শুধু ভূমি নয়, প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষার কাজ করে। গাছ কাটার ফলে উপকূলীয় ভাঙ্গন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং জলবায়ুু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে।
এ বিষয়ে চর গঙ্গামতি বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ঝড়ে ভাঙ্গা বা শুকিয়ে যাওয়া গাছ স্থানীয়রা কেটে নেয়। তবে অবৈধভাবে গাছ কাটলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। ইতোমধ্যে কিছু কাঠ জব্দ করেছি, তবে বাধা দিলে অভিযুক্তরা হুমকি দেয়।’
এ বিষয়ে জেলার মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, “গাছ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু কাঠ জব্দ করা হয়েছে এবং মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান।”