শিরোনাম
ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মানুষ ও হাতির সহাবস্থান নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য বিধিমালা সহজীকরণ ও সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রোববার মানুষ ও বন্য হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হাতির টিকে থাকার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য স্থানীয়দের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমকে আরও সক্রিয় করতে হবে এবং তাদের ওয়াকিটকি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিতে হবে। একই সঙ্গে হাতির খাদ্যোপযোগী গাছ লাগানো জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বোরো মৌসুমে বিশেষ ব্যবস্থায় অতিরিক্ত জনবল পদায়ন করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে হবে। হাতি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
সতর্ক করে তিনি বলেন, হাতির নিকটে গিয়ে টিকটকসহ যেকোনো ধরনের ভিডিও করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
সভায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. রকিবুল হাসান মুকুল, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আলী রেজা খান, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. ছানাউল্লাহ পাটোয়ারী, হাতি সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।