শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা এলাকার ত্রাস সন্ত্রাসী শফিউল আলম শফি’কে (৩৬) যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করেছে। এসময় বিপুল অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইসমাঈল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে এলাকায় পরিচিত সন্ত্রাসী শফি’র বিরুদ্ধে এলাকায় নানা ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগসহ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে। সে পশ্চিম সরফভাটা পাট্ট্যালিকুল গ্রামের নাজের প্রকাশ কালাবালির পুত্র। সন্ত্রাসী শফিকে গ্রেফতারের খবরে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভোরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদে যৌথবাহিনী শফির বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে দু’টি একনলা বন্দুক, ১৫টি তাজা কার্তুজ, ১৬টি খোসা, ১২টি ব্যবহৃত বুলেট হেড, কার্তুজের বেল্ট, দেশীয় তৈরি পটকা, ধারালো অস্ত্র (কিরিচ, ছুরি, ধামা, দা) এবং ভাঙা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফি স্বীকার করেছে, সড়কে নাশকতা ও ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ রেখেছিল। শফির বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে এবং আরো দু’টি পূর্বের মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে বলে ওসি জানান।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ত্রাসী ইসমাইল বাহিনী রাঙ্গুনিয়ায় চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও খুনসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। ২০০২ সালে ভোলাসহ দু’জন বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করে এই বাহিনী। ২০০৪ সালে র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়ে সন্ত্রাসী ইসমাইল, সেকেন্ড ইন কমান্ড শফিসহ বাহিনীর চারজন সন্ত্রাসী। ২০০৬ সালে জামিনে বের হয়ে বিদেশে চলে যান। গত বছরের ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর দেশে এসে কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আবারো চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।