শিরোনাম
ঠাকুরগাঁও , ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, জামায়াতে ইসলাম কাউকে গালি দিয়ে তার অধিকারকে ক্ষুন্ন করেনা।
জামায়াতে ইসলামকে রাজাকার ট্যাগ দিয়ে কোনঠাসা করে রাখতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, কিন্তু ছাত্র-জনতার- ‘তুমি কে-আমি কে-রাজাকার’ স্লোগানে তা ধূলিস্মাৎ হয়ে গেছে, ডাকসু নির্বাচন তা প্রমান করবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে মানুষের দোয়া ভালোবাসা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
তিনি আজ বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারি সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আব্দুল হাকিম, জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ঠাকুরগাঁও এক আসনের জামায়াত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল হালিম বলেন, অবশ্যই জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে এবং তা আইনি রূপ দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। বর্তমান সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে এসেছে। তাই এখানে ছাত্রদের স্বীকৃতি না থাকলে, সংস্কারের আইন প্রতিশ্রতি না থাকলে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না থাকলে জামায়াতে ইসলামী দেশ শাসন করবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন ৫০টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু দেখা যায়- একটি দু’টি দল ছাড়া অন্যা কোন দল সংসদে যাবার সুযোগ পায়না। পিআর পদ্ধতি কোন ষড়যন্ত্র নয়, বরং জামায়াতে ইসলাম সব দলের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করার কথা বলে আসছে। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে হাসিনার মতো আর কোন ফ্যাসিবাদ সরকারের আবির্ভব হবে না।