বাসস
  ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫৩

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি : সিইসি

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সিইসি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন রমজানের আগে নির্বাচন করার জন্য তিনি আমাদের একটি চিঠি দেবেন। চিঠি পাওয়ার পর কমিশন সভায় আলোচনা করে ভোটগ্রহণের দিন থেকে দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।’ 

প্রধান উপদেষ্টা উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের দিনের মতো একটি নির্বাচন দেখতে চান, যা মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন-সংক্রান্ত যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করা হবে। এর মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ প্রায় শেষ, যা আগামী ৩১ আগস্ট চূড়ান্ত হবে। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী উপকরণ কেনার কাজ শেষ হবে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে এবং ১০ আগস্ট পর্যন্ত আপত্তি গ্রহণ করা হবে। শুনানি শেষে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করা হবে।’

দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল শর্ত পূরণ করেছে তাদের যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই শেষে ১৫ দিনের সময় দিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দলগুলোর নিবন্ধনের বিষয়ে মতামত/আপত্তি আহ্বান করা হবে। পরে প্রয়োজনীয় শুনানি শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ ভোটারকে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার (পোস্টাল ব্যালট) সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। 

নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই। গণমাধ্যমের ভূমিকা এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।

তিনি ইসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনায় পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। কারো প্রতি পক্ষপাত বা অনুকম্পা দেখানো যাবে না।’ তিনি বলেন, ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে।

ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। সেই আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ। ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’