শিরোনাম
কিশোরগঞ্জ, ১৭ জুলাই ২০২৫ (বাসস): জেলার করিমগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী (৩০) হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৯জনসহ ১৩জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব রায় ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণা সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ জনের মধ্যে ৭জন উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন, আলফাতুল, আজিজুল হক বালা, রিয়াদ, আয়াতুল হক কামাল, জহিরুল ইসলাম, কামাল, আশিক আহমেদ হৃদয়। অন্য ৬ আসামি পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আ. করিমের পাঁচ ছেলে আ. রউফ ওরফে আলফাতুন (৬৯), আজিজুল হক এলাম (৫৪), আলাউদ্দিন ওরফে আলাম মেম্বার (৫৯), কালাম মুন্সি (৬৪), আয়তুল হক মালাম (৫২)। আবার সাজাপ্রাপ্ত আলফাতুনের দুই ছেলে আঙ্গুর মিয়া ওরফে আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও হায়দার আলী (৩৭)। দণ্ডপ্রাপ্ত আলাম মেম্বারের দুই ছেলে রোয়েল (৩৯), রাসেল ওরফে ছোটন (৩৬), তার ভাই সোহেল (৪১)। আজিজুল হকের ছেলে রেজা মিয়া ওরফে আশিক আহম্মেদ হৃদয় (৩৪), তার ভাই রিয়াদ (৩২) এবং কাইয়ূমের ছেলে জহিরুল ইসলাম কালা (৪৪)।
দণ্ডপ্রাপ্তরা ও নিহত করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর (কজলাহাটি) গ্রামের বাসিন্দা। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, জমি নিয়ে আসামিদের সঙ্গে নিহত মুদি দোকানের ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীর সঙ্গে পূব বিরোর্ধ চলছিল। ঘটনার দিন ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ নিয়ামতপুর বাসট্যান্ড বাজারে গেলে কিরিচ, ছুড়া, লাঠিসোটা, রড ইত্যাদি দিয়ে আসামিদের হামলায় সৈয়দ আলী গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
ব্যবসায়ী সৈয়দ আলী অসুস্থ অবস্থায় থাকাকালে ২৫ মার্চ তার বড় বোন পারভীন সুলতানা করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রুজু করেন। সৈয়দ আলীর মৃত্যুর পর এটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলার তদন্ত কাজ শেষ একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শহর আলী ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আজ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।