বাসস
  ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৭:১১

বাগেরহাটে বর্ষায় জন দুর্ভোগ

বর্ষায় জন দুর্ভোগ। ছবি : বাসস

‎বাগেরহাট, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বাগেরহাটে বর্ষার পানি নামতে না নামতেই পুনরায় অবিরাম বর্ষায় জন সাধারনের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বাগেরহাট জেলার উপকুলীয় অঞ্চল রামপাল, মোরালগঞ্জ ও মোংলাসহ ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল এবং এলাকার শত শত সাদা চিংড়ি ঘের তলিয়ে লাখ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। ঘেরের ভেড়ি ভেঙে যাওয়ায় চাষিরা সামাল দিতে হিমশিম খচ্ছেন।

আজ ভোর রাত ৪ টা থেকে অবিরাম মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে মোংলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ জানান।

বাগেরহাট শহরসহ জেলার সকল শহরতলীর ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় অনেকের গৃহে টানা ১০ দিন ধরে ভাত রান্না করতে পারছেন না বলে বাসাবাটির কেবি এলাকার গৃহিনী নুরজাহান বেগম (৬০) জানান। ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশের কারনে গামলা দিয়ে পানি সেচ করে বসবাসের নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খারদ্বার গ্রামের জোতস্না বেগম (৩৫)।
‎‎
শহরতলীর বৈটপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রী আসলাম (৪৫) বাসসকে জানান, অতিবর্ষনে কোনো কাজ করতে পারছেন না। 

উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ জোয়ার ভাটায় জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে প্রতিনিয়ত বেঁেচ থাকে। সমুদ্র আর বৃহত বাগেরহাটের ভৈরব, বলেশ্বর, পানগুছি, কচা ও পশুর মধুমতী নদীতে এখনও তীব্র জোয়ারে নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হলেও ভাটার সময় পানি নামতে শুরু করে, অথচ ড্রেনে ময়লা আবর্জনা জমে থাকায় পানি নামতে পারছেনা বলে হরিনখানার এটি এম আকরাম হোসেন তালিম জানান।
‎‎
বাগেরহাট পৌর প্রশাসক ডিডি এল জির উপপরিচালক ডাক্তার ফকরুল হাসান বাসস কে জানান, বর্ষার মধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থায় যে ক্রুটি তা মেরামত করা যাচ্ছেনা এবং শহরে জোয়ার ও বর্ষার পানি যাতে সহজেই নামতে পারে এর জন্য স্লুইচ গেট নতুন করে নির্মান ও টেন্ডারের অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে বস্তি অধ্যুষিত এলাকার মানুষ, সাধারণ ব্যবসায়ীরা দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।