শিরোনাম
রংপুর, ২৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগের অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর (বেরোবি) এর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশ ও রুল অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার বিকেলে কমিটি গঠনের বিষয়টি বাসসকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলী।
তিনি বলেন, রোববার হাইকোর্টের রুল ও দুদকের চিঠির প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত ১১৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম শাহিদুল ইসলাম আহ্বায়ক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শামসুল আলম সরকারকে সদস্য করা হয়েছে।
এছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন বেরোবির রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিয়োগ বাছাই বোর্ডের সুপারিশপত্র ‘জালিয়াতি করে’ ২০১২ সালে প্রভাষক পদে নিয়োগ পান গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান। নিয়োগের পর তিনি ১৩ বছর ধরে চাকরি করে যাচ্ছেন।
শিক্ষক তাবিউর রহমানের বিরুদ্ধে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৃতভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী মো. মাহামুদুল হককে বঞ্চিত করে তাবিউরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে কাটা-ছেঁড়া করে ‘যে কাউকে’ বলে তাবিউরের নাম বসানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তাবিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন, এর আগে তদন্ত হয়েছে।’
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আগে থেকেই তদন্ত কমিটি ছিল। তবে কিছু সিন্ডিকেট সদস্য পরিবর্তন হওয়ার কারণে কমিটি পুনরায় গঠন করা হয়েছে। শিক্ষক তাবিউর রহমানের নিয়োগ জালিয়াতির বিষয়ে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবগত করার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুতই সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
উপাচার্য মো. শওকাত আলী বলেন, হাইকোর্টের আদেশ ও রুল অনুযায়ী তদন্ত কমিটি ১৪ কর্মদিবসের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে। আমরা সে পর্যন্ত অপেক্ষা করব।