শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ জুন, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নারী নির্যাতনকারীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন করে এক দুর্বৃত্ত চক্র। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘নারী নির্যাতনকারী অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। তারা মানবসভ্যতার শত্রু, আমি অবিলম্বে হিন্দু ধর্মাবলম্বী প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনকারী দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক নারীকে শ্লীলতাহানী ও নির্যাতন এক নির্মম কলঙ্কজনক ঘৃণ্য ঘটনা। এই বর্বরোচিত ঘটনা দেশের মানুষকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। অথচ একটি কুচক্রী মহল এই কাপুরুষোচিত ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলের মতো নিজেরাই সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি দখল ও নির্যাতন করে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর ধারাবাহিকতা এখনও চলছে।
তিনি বলেন, মুরাদনগরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর শ্লীলতাহানি ও সহিংসতা মনুষ্যত্বহীন, অমানবিক, পাশবিক ও মহল বিশেষের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের অভিসন্ধি। আবারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার আওয়ামী নোংরা কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে। হাসিনার পতনের পরেও আমাদের চিরচেনা সেই সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে না এনে বরং বিনষ্ট করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য।
এদিকে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা অর্থবিত্তে সজ্জিত। নারী নির্যাতনসহ সহিংস সন্ত্রাসের গোপন অভিযান চালিয়ে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য তারা বিপজ্জনক গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। শক্তিশালী পক্ষের আশীর্বাদ আছে বলেই দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলী চালাতে উৎসাহিত হচ্ছে। তবে সুস্থ সমাজ ও নিরাপদ রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য, সত্যের জন্য, সম্মানের জন্য ও আত্মমর্যাদার জন্য ধর্ম, জাতি, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবাইকে দুষ্কৃতকারী পাষণ্ডদের প্রতিহত করতে হবে।