বাসস
  ২০ জুন ২০২৫, ১৭:৪১

নয়াদিল্লিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করল বাংলাদেশ মিশন 

ভারতের নয়াদিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২০ জুন, ২০২৫ (বাসস): ভারতের নয়াদিল্লির তাজ প্যালেস হোটেলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

সাধারণত প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। তবে বেশ কয়েকটি কারণে এ বছর তা ওই সময়ে আয়োজন করা যায়নি। এর মধ্যে ভারতে নতুন হাইকমিশনারের আগমন, পরিচয়পত্র পেশ ও সেই সময় রমজান মাস হওয়ায় অনুষ্ঠানটি বিলম্বে আয়োজন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী শক্তিকে ‘যৌথ অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা’ উল্লেখ করে এটাকে ‘স্থিতিশীল ও ভবিষ্যতমুখী অংশীদারিত্বের ভিত্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে—ব্যবসা-বাণিজ্য, সংযুক্তি, জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়—এসব খাতে সম্পর্ক বিস্তারের সুযোগ ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।

শ্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সব খাতে আন্তঃসংযোগ ও সংযুক্তি জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই, যা আমাদের অংশীদারিত্বের মেরুদণ্ড।’

বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের একটি ভবিষ্যত-প্রসারী রূপরেখা তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, আমরা শুধু অতীতকে স্মরণ করতেই নয়, বরং প্রতিবেশী ও উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেও এই দিবস উদযাপন করি।

তিনি সম্প্রতি নেপালের জলবিদ্যুৎ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত হয়ে বাংলাদেশে স্থানান্তরের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, এটি উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার একটি দৃষ্টান্ত।

তিনি জানান, বর্তমান বিমসটেক চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি জামদানি শাড়ির সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী এবং ঢাকার বিখ্যাত ফখরুদ্দিন ক্যাটারিংয়ের বাবুর্চিদের তৈরি বিশেষ খাবার পরিবেশিত হয়, যার মধ্যে ছিল খ্যাতনামা ঢাকাইয়া কাচ্চি বিরিয়ানি।

অনুষ্ঠানে শতাধিক অতিথি অংশ নেন, যাদের মধ্যে ছিলেন কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, গবেষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।