বাসস
  ১৯ জুন ২০২৫, ১৫:৩৩
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ১৫:৪৪

ঢাকায় ব্রিটিশ রাজার জন্মদিন উদযাপন

বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন মহামান্য রাজা তৃতীয় চার্লসের আনুষ্ঠানিক জন্মদিন উদযাপন করেছে, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধান ও কমনওয়েলথের প্রধান হিসেবে রাজা চার্লস দীর্ঘদিন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, টেকসই উন্নয়ন, শিল্প-সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। অনুষ্ঠানে তাঁর এই ভূমিকার প্রতিও সম¥ান জানানো হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক অতিথিদের স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সংগীত পরিবেশন করা হয়। 

রাজা চার্লসকে সম্মান জানিয়ে এবং যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি কামনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অতিথিরা।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, বৃটিশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, কারণ তারা আগাম দুর্যোগ সতর্কতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশকে তাৎক্ষণিক তথ্য দিতে ও ডেটা ভাগাভাগি করতে রাজী হয়েছে।

দু’দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ভবিষ্যতে ঢাকা-লন্ডনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।

হাইকমিশনার কুক বলেন, আমরা এ বছরের আয়োজনে ‘জলবায়ু সহনশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন’কে মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছি। বিষয়গুলো রাজা চার্লস সবসময় গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছেন এবং যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক মিশন, রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসা, শিক্ষা, সমাজ উন্নয়ন, শিল্প-সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বজুড়ে বৃটিশ হাইকমিশন ও দূতাবাসগুলোতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের সরকারি জন্মদিন উদযাাপন করা হয়।