বাসস
  ১৮ জুন ২০২৫, ১৪:০১

মেহেরপুরে কাঁঠালের অধিক ফলন

ছবি: বাসস

-দিলরুবা খাতুন- 

মেহেরপুর, ১৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় চলতি মৌসুমে জাতীয় ফল কাঁঠালের অধিক ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজারগুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু হয়েছে। 

কাঁঠালের অধিক ফলনে বাগান মালিকদের মুখের হাসি ফুটেছে, তারা বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন। অন্যদিকে, বাজারে সুমিষ্ট কাঁঠালের চাহিদার পাশাপাশি দামও মানুষের সাধ্যের মধ্যে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর জেলায় চলতি বছর ৮১৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালের ফলন হয়েছে। জেলায় কাঁঠাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে একলাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন। 

সরেজমিনে মেহেরপুরের বিভিন্ন কাঁঠাল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছ কাঁঠালে ভরপুর। এছাড়া জেলার বিভিন্ন রাস্তার দু’পাশে অন্তত ৫০ কিলোমিটার সড়কের পাশে শুধুই কাঁঠাল গাছ। গাংনী উপজেলার রাস্তার দু’পাশে কাঁঠালগাছ বেশী।এর মধ্যে কাজিপুর, তেতুলবাড়িয়া, কাথুলী ও রায়পুর ইউনিয়নে সরকারি রাস্তার দু’পাশে কাঁঠালগাছ বেশী।

স্থানীয় কাঁঠাল চাষিরা জানান, মেহেরপুর জেলার নির্ধারিত বাগান ছাড়াও সড়ক-মহাসড়ক, গ্রামীণ জনপদ, হাট-বাজার এবং বাড়ির আঙ্গিণায়ও কাঁঠালগাছ বেড়ে ওঠে, ফল দেয়। ব্যক্তি মালিকানায় কাঁঠালগাছ রোপণ করা হয়। রাস্তার পাশ দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকেই কাঁঠাল গাছ রোপন করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রেই সার, কীটনাশক এমনকি বিশেষ পরিচর্যা ছাড়াই এ গাছ আপনগতিতে বেড়ে ওঠে। উৎপাদিত কাঁঠাল জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। 

কৃষিবিদরা জানান, কাঁঠালের কোনো অংশই ফেলে দিতে হয় না।কাঁঠালের রস থেকে প্রচুর ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কাঁঠালের বিচি এবং কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালের খোলস ও পাতা গবাদিপশুর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাঁঠাল গাছের কাঠও আসবাব তৈরিতে ব্যবহার হয়। তাই কাঁঠাল গাছ লাগিয়ে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে মানুষ।

জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম জানান, জেলায় এ বছর কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। কাঁঠালের উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। 

তিনি জানান, জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গাছ লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনায় কাঁঠাল গাছ লাগানো হচ্ছে। প্রতিবছরই ইউনিয়ন পরিষদগুলোর উদ্যোগে রাস্তার দু‘ধারে কাঁঠালগাছ রোপন করা হচ্ছে।