শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, পত্র পত্রিকায় এসেছে এইচএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির একটি কারণ বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহের কারণে অনেক ছাত্রী স্কুল ও কলেজ থেকে ঝরেপড়ে।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হলে পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের জনগণকে সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। রাষ্ট্রের একার পক্ষে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সম্ভব না। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে বাল্যবিবাহ না হয়, শিক্ষকদের দায়িত্বের সাথে এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)-এর অডিটোরিয়ামে ‘ফিউচার ন্যাশন’ শীর্ষক সেমিনারে শিক্ষা উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। বর্তমান সরকারের শ্বেতপত্র-সহ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আলোকে ভবিষ্যতে এ অধিকারগুলোর বিষয়ে জনসাধারণের জন্য কাজ করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রফিকুল আবরার বলেন, আলোচনায় ওঠে এসেছে ডেলিভারির ক্ষেত্রে যেখানে শতকরা ১০ ভাগ সিজারের প্রয়োজন হয়, সেখানে শতকরা ৫০ ভাগ সিজার হয়ে থাকে। এটাকে বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তারদের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনকে ভূমিকা রাখতে হবে। সরকার এটা বন্ধ করতে গেলে হইচই পড়বে—বলা হবে সরকার ডাক্তারদের কাজে বাধা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ডাক্তারদের ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমরা এক সময়ে গ্রামের প্রান্তিক এলাকায় ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের কার্যক্রম অনেক দেখতে পেতাম কিন্তু এখন আর আগের মতো কার্যক্রম দেখা যায় না।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা প্রজা হয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আমাদের জীবন চলে যাবে নাগরিক হিসেবে না, প্রজা হিসেবে। সেখান থেকে আমাদের উদ্ধার করেছে তরুণ প্রজন্ম, শ্রমজীবী মানুষ ও রাজনৈতিক দলসমুহ। বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে এখন আমরা নাগরিক হিসেবে কথা বলছি। অধিকার বিবর্জিত প্রজা থেকে এখন আমরা সমৃদ্ধ নাগরিকে পরিণত হয়েছি। বিভিন্ন অস্থিরতা থাকলেও একটা সুন্দর সময় আমাদের এখন দ্বারে উপনীত হয়েছে। তাই তরুণদের প্রতি চড়াও না হয়ে তাদের সিদ্ধান্তের ও পছন্দের প্রতি আমাদের সম্মান থাকতে হবে। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের গুরুত্বের সাথে কাজ করতে হবে।'
এফপিএবি’র সভাপতি মাসুদ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ।