বাসস
  ৩১ মে ২০২৫, ১৫:৫৩
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, ১৬:০৬

রাজশাহীতে হত্যা মামলার চার আসামি আটক

রাজশাহীর দূর্গাপুরে চাঞ্চল্যকর হাসিবুর হত্যা মামলার ৪ আসামীকে আটক করেছে র‌্যাব-৫। ছবি: বাসস

রাজশাহী, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস): জেলার দূর্গাপুরে চাঞ্চল্যকর হাসিবুর হত্যা মামলার মূল আসামি আবু সালেহ বাবুসহ এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে আটক করেছে র‌্যাব-৫।

শনিবার সকালে চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার হোজা অনন্তকান্দি গ্রামের আবু সালেহ বাবু (৪৫), একই এলাকার জামরুল ইসলাম (৪০), ফরিদুল ইসলাম (২৫) ও আরিফুল ইসলাম (২৪)।

র‌্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, র‌্যাব-৫, সদর কোম্পানি রাজশাহীর একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজশাহী জেলার চারঘাট থানাধীন মাড়িয়া গ্রামস্থ জনৈক সিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে হত্যা মামলার আসামীরা আত্মগোপনে রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাবের দলটি ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা ৪ জন আসামিকে আটক করে। 

মামলার এজাহার সূত্রে র‌্যাব আরো জানায়, জমি নিয়ে মামলার বাদী আবুল কাশেমের সঙ্গে একই গ্রামের আবু সালেহ বাবুদের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। গত ১৪ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হোজা অনন্তপুর গ্রামে জমি মাপাকে কেন্দ্র করে আসামিদের সাথে বাদীর কথা কাটাকাটি হয়। একই দিন সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির জের ধরে বাদীর বসতবাড়ির সামনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদীর ছেলে হাসিবুরসহ আরো অনেকের ওপর হামলা চালায়। আসামিরা এলোপাতাড়িভাবে বাদীর ছেলে, চাচাতো ভাই, ভাতিজাসহ অনেকের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত হাসিবুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর নিহতের বাবা আবুল কাশেম (৬৬) বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় ১৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আসিফ আল রাজেক বাসস’কে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। পরে তাদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।