বাসস
  ৩০ মে ২০২৫, ২০:৩২

বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৪ জাহাজ তীরে আটকা

বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৪ জাহাজ তীরে আটকা। ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস): বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় শক্তি’র প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপকূলে উঠে গেছে চারটি জাহাজ।

শুক্রবার (৩০ মে) কোস্ট গার্ডের সাঙ্গু স্টেশনের ইনচার্জ এম আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় দুটি লাইটারেজ জাহাজ সমুদ্র সৈকতের তীরে পাথরের ওপর উঠে আটকে যায়। এরপর শুক্রবার আনোয়ারা উপকূলে আরও দুটি নৌযান আটকা পড়ে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে জাহাজগুলো দেখতে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।

জানা গেছে, পতেঙ্গায় আটকা পড়া জাহাজ দুটি হলো এমভি আল-হেরেম ও বিএলপিজি সুফিয়া। এর মধ্যে আল-হেরেম জাহাজটি পণ্য খালাসের পর সাগরে নোঙর অবস্থায় ছিল। বিএলপিজি সোফিয়া জাহাজটি গত অক্টোবরে এলপিজি গ্যাস স্থানান্তরের সময় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমার আওতাধীন আনোয়ারা উপকূলে রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা সমুদ্র সৈকতের উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় আটকে যায় কয়লাবাহী দুটি কার্গো ও লাইটার জাহাজ- নাভিমার-৩ ও মারমেইড-৩। এরমধ্যে মারমেইড-৩ হলো বার্জ, নাভিমার-৩ টাগবোটের সাহায্যে এটি আনা-নেওয়া করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর মহেশখালী থেকে আসার পথে প্রবল বাতাস ও সমুদ্রের ঢেউয়ের কারণে জাহাজ দুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তীরে উঠে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ‘জাহাজ দুটি ৫০-৬০ ফুট বালির নিচে ঢুকে গেছে। যদি স্রোতে বেড়িবাঁধের দিকে সরে আসে তাহলে মসজিদসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

জাহাজে দায়িত্বে থাকা ওয়াচম্যান মিসকাতুর রহমান বলেন, ‘বাঁশখালীর গণ্ডামারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা খালাস শেষে ফেরার পথে ঝড়ের কবলে পড়ি। পরে উপকূলের চরে আটকা পড়ি।’ 

তিনি জানান, জাহাজ দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এর মালিকানাধীন এক কোম্পানির।

এদিকে ঘটনার পরপরই কোস্ট গার্ড সাঙ্গু স্টেশন ও বারআউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাহারার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কায়সার হামিদ বলেন, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকেই আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।’