বাসস
  ২৯ মে ২০২৫, ১৮:৪৫

শাহ আমানত বিমানবন্দরে সশস্ত্র বাহিনীসহ ১২ সংস্থার অংশগ্রহণে নিরাপত্তা মহড়া

ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহড়ায় অংশ নেয় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্তত ১২টি সরকারি সংস্থা।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উদ্যোগে ‘এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি এক্সারসাইজ ২০২৫’ শুরু হয়। কোনো বিমানে বোমা বা বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেলে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া এবং বোমা নিষ্ক্রিয় বা উদ্ধার করার প্রক্রিয়া অনুশীলন করা হয় এবারের মহড়ায়।

মহড়ায় দেখানো হয়, দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পর বিমানবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দুটি বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করে।

বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমান এএন-৩২ এবং হেলিকপ্টার এমআই-১৭ দিয়ে মহড়াটি বাস্তবায়ন করা হয়। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পর একজন ‘আহত’ যাত্রীকে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হয়। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দুটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।

মহড়ায় অংশ নেয় বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, বিমানবাহিনী মেডিকেল টিম এবং বিমানবন্দর মেডিকেল টিম।

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পরপর এমন মহড়া আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর প্রস্তুতি ও সক্ষমতা যাচাই করা।

মহড়ার প্রধান অতিথি ছিলেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেবল যন্ত্রপাতি নয়, প্রস্তুতিও জরুরি। আজকের মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সব সংস্থা খুবই দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকলে যেকোনো সংকট মোকাবিলা সম্ভব।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসারে এই মহড়াগুলো আমাদের নিয়মিত করতে হবে, যাতে বিপদের সময় আমরা তাৎক্ষণিক ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তিনি অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এমন প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মহড়ায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচক, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন এয়ারলাইনসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।