বাসস
  ২৮ মে ২০২৫, ১৩:২৫

সুন্দরবন থেকে আটক দুই হরিণ শিকারি কারাগারে

বাগেরহাট, ২৮ মে ২০২৫(বাসস): জেলার মংলা সুন্দরবন থেকে হরিণের চামড়া ও মাথাসহ আটক দুই শিকারিকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গতকাল বিকেলে বাগেরহাট  সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক বিলাস মন্ডল এই আদেশ দেন। এর আগে বন বিভাগের কোকিলমনি টহলফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদিক মাহমুদ বাদী হয়ে এই মামলা করেন এবং আসামিদের আদালতে সোপর্দ করেন।

আসামিরা হলেন, বাগেরহাটের মংলার চাঁদপাই এলাকার সুলতান খানের পুত্র মামুন (৩৩) এবং একই এলাকার আক্কাছ শেখের পুত্র আ. রহিম (২১)।

মামলা সূত্রে জানা যায়,  কোকিলমনি টহলফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্যে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কাঁকড়া আহরণ করছিলেন মামুন ও রহিম নামের দুই ব্যক্তি। বনরক্ষীরা ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। ঘটনাস্থলে থাকা দুটি নৌকা তল্লাশী করে ৪০ কেজি কাঁকড়া, ২১টি চারু ও সোলার প্যানেল জব্দ করা হয়।

এছাড়াও ঘটনাস্থলের পাশে একটি গাছে ঝুলানো অবস্থায় রাখা একটি হরিণের চামড়া ও তিনটি শিং ওয়ালা হরিণের মাথা উদ্ধার করা হয়।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হরিণের মাংসগুলো পচে গেছে। চামড়া ও মাথা জব্দ করেছি। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ১৫ দিনে ১০০ কেজি ফাঁদ ও ৫২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। হরিণ শিকার বন্ধে বনবিভাগ টহল জোরদারের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। হরিণ শিকারকে নিরুৎসাহিত করতে, আমরা বনজীবীদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছি। কোন বনজীবী যদি এক কেজি হরিণ শিকারের ফাঁদ ধরিয়ে দিতে পারে তাহলে আমরা তাকে ২ হাজার টাকা প্রণোদনা দিচ্ছি। সুন্দরবন ও বন্য প্রাণী রক্ষায় আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।