বাসস
  ২৭ মে ২০২৫, ২০:৩০

পঞ্চগড়ে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করায় দুই জনের কারাদণ্ড 

অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করায় দুই জনের কারাদণ্ড ।ছবি : বাসস

পঞ্চগড়, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই জনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এই ঘটনায় জমির মালিক শফিউল ইসলামকে (৬৬) ছয় মাস ও এস্কেভেটর চালক পলাশকে (২৬) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী। 

এস্কেভেটর চালক পলাশের বাড়ি যশোর জেলার শার্শা উপজেলায়।

আজ উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের সদস্যরা এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। 

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয়সহ সেনা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় অবৈধ উপায়ে ফসলি জমির পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন করছিলেন জমি মালিক শফিউল ইসলাম।

এসব বালি ও মাটি ঐ এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছিল। পরে খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয়ের নেতৃত্বে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী।

এ সময় বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১০ এর ১৫(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে জমির মালিক শফিউল ইসলামকে ৬ মাস ও এস্কেভেটর চালককে তিন মাসের বিনাশ্রম দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী বলেন, এই জমি মালিক প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত সমতল মাটি কেটে পুকুর খননের নামে বালু ও পাথর অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করছিলেন। এর আগেও খবর পেয়ে তাকে সতর্ক করা হলেও তিনি তা শোনেননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৯ বীর) পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় বলেন, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় মাটি কেটে অবৈধ উপায়ে বালু ও পাথর উত্তোলনের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এসব ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে দন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। 

বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১০ এর ১৫(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাদের দন্ডাদেশ দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে। এস্কেভেটরের দুইটি ব্যাটারি জব্দ করে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।