বাসস
  ২৭ মে ২০২৫, ১৯:৪১

ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ আইজিপির

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস): পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আসন্ন ঈদুল আযহা নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

আইজিপি আজ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে দেশের সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারগণের সাথে ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশ দেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া ও পিআর) ইনামুল হক সাগর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন আইজিপি। 

সভায় তিনি বলেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

সভায় কোরবানির পশু পরিবহণ নির্বিঘ্ন করা, এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে না নেওয়া, হাইওয়ের পাশে পশুরহাট না বসানো, জাল টাকা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মার্কেট ও শপিংমলের নিরাপত্তা প্রদানে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রাধিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্ধারিত করা আছে। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যেকোনো পুলিশি কার্যক্রম যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অস্ত্রের প্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়। 

পুলিশের টহল কার্যক্রম বা সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থি ও বিদ্রোহ (ইনসারজেন্সি) প্রবণ এলাকায় কার্যক্রমের সময় অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ অস্ত্র বহন করবে।

আইজিপি বলেন, পাঁচ আগস্টের পরে নতুন বাংলাদেশে পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার পর্যালোচনার বিষয়টি শুধু জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অর্থাৎ মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের বেলায়ই উঠে এসেছে। 

মিছিল সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে জীবন বিধ্বংসী মারণাস্ত্র(লেথাল আর্মস) ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা স্বভাবতই প্রশ্নবিদ্ধ। এই বিষয়টিই বর্তমানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

এছাড়া সভায় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী যে সকল লাইসেন্সধারী অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।

সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখ, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিম, ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) মো. কামরুল আহসান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।