বাসস
  ২২ মে ২০২৫, ১৫:০৪
আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ১৬:২৬

উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে রায় ঘোষণার পর, থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন বিএনপি মহাসচিব ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, ‘বিচার বিভাগের উচ্চ আদালত আইনের প্রতি সন্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত, সেই ধরণের রায় তারা দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে।’

তিনি বলেন, এটাতে নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটা বিজয় হয়েছে। আমরা জানি যে যখন মেয়র নির্বাচন হয়, তখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জোর-জবরদস্তি করে এর ফলাফল কেড়ে নিয়ে গিয়েছিলো। জনতার মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীসহ দেশের জনগণ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছিলো।

ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আশা করব যে, মন্ত্রণালয় আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে, দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলবার চেষ্টা করবেন।’

রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট দূর করবার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এখানে অন্য কথা বলে লাভ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারণ সংস্কারের যে বিষয়টা আছে, সেটা চলমান প্রক্রিয়া। এটাও প্রোপজ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে তারা অতিদ্রুত যে গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হয়েছে, সে গুলো তারা ঘোষণা করবেন। যেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করা, কিংবা এটা নিয়ে টানাহেচড়া করা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলবে।’

তিনি বলেন, সেই কারণে জনগণের প্রত্যাশা যে, অতি দ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো, যেগুলোতে ঐক্যমত্য হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐক্যমত্য হবে না, সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখবেন।

নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি যে, যেহেতু আদালতে এ বিষয়ে রায় হয়েছে, জনগণের বিজয় হয়েছে। এখন আর এই বিষয়টাতে সেই ভাবে সড়ক অবরোধ করে না রেখে... আশা করার যায় যে, সরকারের সুমতি হবে... তারা ইশরাককে শপথ দেয়ার ব্যবস্থা নেবেন (নেতা-কর্মী-সমর্থকরা) জনগণের স্বস্তির জন্যে রাস্তা থেকে সরে যাবেন।’

গত ১৪ মে চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য বিএনপি মহাসচিব ব্যাংকক যান। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।