শিরোনাম
পটুয়াখালী, ২১ মে ২০২৫, (বাসস): বিস্তীর্ণ সবুজের ফাকে ফাকে কালো সোনার হাতছানি। যেদিকে দুচোখ যায় মাঠের পরে মাঠ এখন শুধু পাকা মুগডাল। এ অবস্থায় ক্ষেত থেকে দলবেধে ডাল তুলে বস্তায় ভরে বাড়ির উঠানে শুকিয়ে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করছে কৃষক।
কৃষি অফিস বলছে, দেশের ৪৫ শতাংশের বেশি মুগ ডাল উৎপাদিত হয় পটুয়াখালী জেলায়। এই অঞ্চলের মাটি ডাল চাষের জন্য উপযোগী। এবার অনুকূল আবহাওয়া এবং আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করায় জেলায় মুগ ডালের অধিক ফলন হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত মুগডাল জাপান, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে।
চলতি বছর অনুকূল আবহাওয়া এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ না হওয়ায় একর প্রতি ২৭০০ থেকে ২৮০০ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে । এছাড়া গত বছর প্রতি মণ মুগ ডাল ৩০০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার ৩৮০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই কৃষক এই তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করে রোদে পুরে খেত থেকে ডাল তুলছেন।
উন্নতমানের বীজ, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এ বছর জেলায় মুগডালের অধিক ফলন হয়েছে। কিন্তু এ বছর তাপমাত্রা বেশি থাকায় কৃষক ক্ষেত থেকে ডাল ঘরে তুলতে পারছে না। বৃষ্টি হলে ক্ষেতেই নষ্ট হবে ডাল এমন দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। হাতে টাকা থাকলেও মিলছেনা কোন দিনমজুর। তাই সকাল-বিকেল পরিবার পরিজন নিয়ে মুগডাল ক্ষেত থেকে ঘরে তুলছেন কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মুগডাল চাষে আমরা কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগীতা করে থাকি। যেহেতু বর্তমানে তাপমাত্রা বেশি সেজন্য আমরা কৃষককে ফজরের নামাজের পরে এবং বিকেলে ডাল উঠাতে এবং ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি।
এ বছর জেলায় ৮৮ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে মুগডাল চাষ হয়েছে। উৎপাদন হবে ১ লক্ষ ১১ হাজার ১শ ১৪ মে.টন,ডাল যা গত বছরের চেয়ে ২০ হাজার মে.টন বেশি।