বাসস
  ২০ মে ২০২৫, ১২:১৬

বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস): বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কেন সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি সিকদার মাহমুদ রাজির সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট  ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।

বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী  মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।  তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার ও নাঈম সরদার।

মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার গত ১৩ মে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দাখিল করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিকল্পনাসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালককে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, বজ্রপাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষত কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন, বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার চেয়েও বেশি। গ্রামীণ এলাকার বিস্তৃত জমি, খোলা মাঠ ও খেলার মাঠ এখন বজ্রপাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও সরকার বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে, তবু বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।

রিটে বলা হয়, বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়াতে নেপাল ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের জীবন রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সাংবিধানিক এবং আইনি দায়িত্ব।