শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ প্রায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই অভিযোগে তার দুই পুত্র ও এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক জানায়, অনুসন্ধানে শামসুল হক টুকুর বৈধ আয়ের পরিমাণ পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩৫ টাকা, অথচ তার অর্জিত সম্পদের মূল্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪ হাজার ১৬ টাকা। ফলে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ১৮১ টাকা। এ ঘটনায় দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
এছাড়া, শামসুল হক টুকুর ছেলে ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম আসিফ শামসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৩ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় তার প্রকৃত সম্পদের তথ্য উদঘাটনের লক্ষ্যে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে তার বৈধ আয় পাওয়া গেছে মাত্র ৩ লাখ ৯৯ টাকা, বিপরীতে সম্পদের মূল্য ২৬ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪২ টাকা।
একই ধারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এস এম নাসিফ শামসের বিরুদ্ধেও সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে দুদক। তার বৈধ আয় ১ কোটি ১৫ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ টাকা, আর প্রাপ্ত সম্পদের মূল্য ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। ফলে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৫ টাকা।
এছাড়া নাসিফ শামসের স্ত্রী মিসেস মুমতাহিন মোস্তফার বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তথ্য পাওয়ায় তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।