শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : শ্রম আইন ও শ্রমিক অধিকার সংস্কারে নেওয়া উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।
সংস্থাটির মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ. হুংবো বলেছেন, সাম্প্রতিক সংস্কারগুলো বাংলাদেশের শ্রমমানকে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সরকারকে পাঠানো এক চিঠিতে আইএলও মহাপরিচালক এই মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর পাঠানো এক চিঠির জবাবে হুংবো এই প্রশংসা করেন। লুৎফে সিদ্দিকীর ওই চিঠিতে বাংলাদেশে চলমান শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে লুৎফে সিদ্দিকী উল্লেখ করেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্পষ্ট নির্দেশনায় শ্রম সংস্কারের ক্ষেত্রে অতীতের ধীরগতির প্রবণতা থেকে বেরিয়ে এসে গতি, প্রক্রিয়া ও অগ্রগতিতে একটি স্পষ্ট পরিবর্তন আনা হয়েছে।
চিঠিতে আইএলও মহাপরিচালক লেখেন, শ্রম সংস্কারের বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
চিঠিতে আইএলও মহাপরিচালক আরও উল্লেখ করেন, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি-সংক্রান্ত অতিরিক্ত আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন বাংলাদেশের জন্য ‘আরেকটি ঐতিহাসিক মাইলফলক’। গত ২০ নভেম্বর জেনেভায় শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন এসব কনভেনশনের অনুসমর্থনপত্র জমা দেন।
আইএলও-কে পাঠানো চিঠির উপসংহারে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, এসব পদক্ষেপ সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের শ্রমমানকে স্থায়ীভাবে আরো উন্নত স্তরে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, এখানে শুধু চূড়ান্ত ফলাফল নয়, বরং পুরো সংস্কার প্রক্রিয়াটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ. হুংবো চিঠির শেষাংশে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় সরকার, শ্রমিক ও মালিক সংগঠনগুলোকে কারিগরি সহায়তা দিতে আইএলও’র ওপর আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।