শিরোনাম
পলিয়ার ওয়াহিদ
ঢাকা, ২৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : আসাদ বিন রনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী অন্যতম ছাত্রনেতা। তিনি ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি বরিশালের সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। লেখাপড়া করেছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সংগঠকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
রনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
পেশাগত জীবনে তিনি এক্সপোর্ট-ইনপোর্টের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
বেশ কয়েকবার আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন রনি। ২০২২ সালে শহীদ আবরার ফাহাদের স্মরণ সভায় রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগ তার ওপরে হামলা করে এবং ঢাকা মেডিকেলের ইমারজেন্সি বিভাগে চিকিৎসারত অবস্থায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দেয়। এতে তাকে দেড়মাস কারাগারে থাকতে হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ আয়োজন ‘জুলাই জাগরণ’ এর মুখোমুখি হন তিনি। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন পলিয়ার ওয়াহিদ।
বাসস : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্ণ হচ্ছে। জুলাইয়ের সেই সংগ্রামী সময়ের স্মৃতি কতটা অনুভব করেন?
আসাদ বিন রনি : আমার কাছে জুলাই আন্দোলন ছিল জালিম সরকারের বিরুদ্ধে জনযুদ্ধ। দেখুন জুলাইয়ে আমরা যারা লড়াই করেছি, তাদের হাতে লাঠি আর ইটের টুকরো ছাড়া আর কোন অস্ত্র ছিল না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু চব্বিশের লড়াইয়ের অংশগ্রহণের সময়টুকু ছিল জালিমের শোষণ থেকে মুক্তির চূড়ান্ত লড়াই। যখন প্রতিদিন শহীদের লাইন লম্বা হতে লাগলো তখন আমাদের সকলের একটা দৃঢ় সংকল্প ছিল যে প্রয়োজনে আমিও শহীদ হবো কিন্তু এই জুলুম এই রাষ্ট্রে আর চলতে দেবো না। আমার কাছে জুলাইয়ের লড়াইয়ের স্মৃতিগুলোই আগামী দিনের বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণের সংগ্রামের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বাসস : কোটা সংস্কার আন্দোলনে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা কি ছিল?
আসাদ বিন রনি : আমি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সাভারে অবস্থিত। ঢাকার বাহিরের বিশ্বিবিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম মানিকগঞ্জ-সাভার হাইওয়ে ব্লক করে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করে। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগ হামলা করলে সেই হামলায় তাদের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ায় গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এ ছাড়াও সাভার অঞ্চলের আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিল গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা প্রতিনিয়তই স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বাসস : জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এখনো কাউকে বলেননি এমন কোনো স্মৃতির বিষয়ে কিছু বলুন।
আসাদ বিন রনি : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো যখন তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে মিটিং করে ৯ দফা ঘোষণা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন কারফিউ ও ইন্টারনেটে শাটডাউন এক সাথে চলছিল। কারো সাথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে উঠছিল। তখন আমি একটা গোডাউনে পালিয়ে ছিলাম। মোবাইলে একটা টেক্সট লিখে আন্দোলনরত সবার মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দেই। যেন কেউ আন্দোলন থেকে বিচ্যুত না হয়ে সংগ্রাম জারি রাখে। সেই মেসেজটি ছিল এমন-
আন্দোলনের বিশেষ ঘোষণা
‘প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতিবাদী সূর্য সন্তানেরা, এই সরকারের দমনপীড়ন, হামলা, মামলা, গ্রেফতার ও অব্যাহত খুনের কারণে দেশটা ভয় ও আতঙ্ক এবং লাশের জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন গণঅভ্যুত্থানে রূপ লাভ করেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও দেশের সর্বস্তরের মানুষ এখন ছাত্রহত্যার নির্দেশ দাতাদের পদত্যাগ ও রাষ্ট্র সংস্কার চায়। এই আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে জনগণকে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানানো হলো। কারণ আমার শহীদ ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না।
বি.দ্র. কয়েকজন শিক্ষার্থীর, শিক্ষার্থী ও জনগণের অনুভূতির বাইরে গিয়ে নিয়মতান্ত্রিক মিডিয়ায় কথা বলছেন তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।
সমন্বয়ক-
আসাদ বিন রনি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’
এভাবে কারফিউ ও ইন্টারনেট শাটডাউ চলাকালে সংগ্রাম জারি রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলাম।
বাসস : আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন জুলাইয়ের কত তারিখে?
আসাদ বিন রনি : হাইকোর্টের রায়ে যখন চাকরিতে কোটা পূর্ণবহাল করা হয় তখন আমি সাতক্ষীরায় ছিলাম। সেদিনই সন্ধ্যায় বাসের টিকিট কেটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সকালেই কোটা পূর্ণবহালের রায়ের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ করি। বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হই। তারপর থেকে প্রতিদিনই বিজয়ের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আন্দোলন কীভাবে বেগবান এবং সফল করা যায় তার জন্য সকল ধরনের পরিকল্পনা ও সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রাখি। বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করে মার্চ টু প্রেসক্লাব, মার্চ ফর জাস্টিস ১ দফা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি।
বাসস : গণঅভ্যুত্থানে আপনার সামনে কোনো যোদ্ধা শহীদ হয়েছেন? যদি এমনটা ঘটে থাকে সে বিষয়ে কিছু বলুন।
আসাদ বিন রনি : ১৮ তারিখ পল্টনে কারফিউ ভেঙে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলাম। তখন আমার পাশে দাঁড়ানো কাছের এক ছোট ভাইয়ের হাতে গুলি লাগে। পরক্ষণেই সেখানে আর একজনের মাথায় গুলি লাগলে মগজ বা মস্তিষ্ক বের হয়ে যায়। ওই দিন চোখের সামনে একজনকে শহীদ হতে দেখি। এসব কথা এখন খুব স্বাভাবিকভাবে বলতে পারলেও তখন প্রতি মুহূর্তে প্রাণ হাতে নিয়ে রাজপথে থেকেছি।
বাসস : জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আপনার কি কখনো মনে হয়েছিল হাসিনা পালিয়ে যাবে?
আসাদ বিন রনি : ১৭ তারিখ বুঝতে পারি হাসিনার পক্ষে আর ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব না। তখন আমাদের চিন্তা ছিল তাকে গ্রেফতার করে খুনের বিচার করতে হবে। তাকে হত্যা করার কোন চিন্তা কখনো ছিল না। কারণ আমরা ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবকে হত্যা না করে বিচারিক কাঁঠগড়ায় দাঁড় করালেও তার ফাঁসি হতো। কিন্তু বিপ্লবীরা তখন তাকে হত্যা করে তার সকল অপরাধ থেকে দায় মুক্তি দিয়েছিল। যার ফলে আমাদের আরও ১৫ বছর জালিমের শাসন সহ্য করতে হয়েছে। এই ভুল আমরা করতে চাইনি। কিন্তু শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে দেওয়া ছিল শহীদের রক্তের সাথে সাথে প্রতারণা।
বাসস : ৫ আগস্ট তথা ৩৬ জুলাই সকালে কোথায় আন্দোলন করেন? হাসিনা পালানোর খবরে কী অনুভূতি হয়?
আসাদ বিন রনি : ৫ আগস্টে আমি শাহবাগে ছিলাম। শাহবাগে ৫ আগস্টের আন্দোলন আমিসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে বিক্ষুব্ধ জনতা কারো সম্পদের ক্ষতি না করে। আনুমানিক ১টার দিকে খবর আসে খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। তখন তার বিচার না করতে পারার ক্ষোভ আমাদের ক্ষুদ্ধ করে।
বাসস : আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কীভাবে প্রভাবিত করেছিল?
আসাদ বিন রনি : ১৫ তারিখ ভিসি চত্বরে নারী শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার দৃশ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিবদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাতে ছাত্রলীগের হামলা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হামলাসহ ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশের নৃশংস হামলা এদেশের মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে। ফলে ক্ষোভে ফুসে ওঠে জনতা। যা পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে গণমানুষের আন্দোলনে রূপান্তর করে।
বাসস : আন্দোলন দমনে পুলিশের ভূমিকা কেমন ছিল?
আসাদ বিন রনি : আন্দোলনে বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য দল-দাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। তারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা নিলেও জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের হয়ে কাজ করে। যা দিন শেষে গণহত্যায় রূপ নিয়েছিল।
বাসস : আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আপনি কি ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন?
আসাদ বিন রনি : ১৬ তারিখ থেকে প্রতিদিন শহীদের তালিকা দীর্ঘ হতে থাকে। তখন শহীদ হওয়াই আমার জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই সময় আসলে কোন কোন হুমকিকেই পরোয়া করিনি। বাসায় কয়েকবার পুলিশ গিয়েছিল। ফলে আন্দোলনের ওই সময় আমি বাসায় থাকা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তখন একটা গোডাউনে রাত কাটাতাম। এক সময় পুলিশ সেখানেও হানা দেয়। ওই সময় বাসার বাহিরে থাকার কারণে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করতে পারিনি। গ্রেফতার এড়াতে প্রতিদিন কয়েকবার লোকেশন চেঞ্জ করতাম। আন্দোলনে প্রতিদিনই বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছি। আমার শরীরে এখনো অনেক ছররা বুলেট রয়েছে। আমি সেগুলো বহন করেই জীবনযাপন করছি।
বাসস : স্বৈরাচার পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে আপনার প্রত্যাশা কি?
আসাদ বিন রনি : স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে বৈষম্যহীন, কল্যাণময়, আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র আমরা প্রত্যাশা করি। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী বিভাজন আমাদেরকে আবারও আশাহত করছে।
বাসস : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রামপুরা ব্লকেড নিয়ে আপনি কিছু বলুন।
আসাদ বিন রনি : আমি আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই যুক্ত ছিলাম। যখন ব্লকেড কর্মসূচিগুলোর ঘোষণা আসতে থাকলো তখন ঢাকার ৭ কলেজে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব ব্যানার নিয়ে আলাদাভাবে কর্মসূচি সফল করার জন্য মাঠে নামতে শুরু করল। কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করতো। তাদের কোন স্বতন্ত্র ব্যানার ছিল না। আমি যেহেতু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট সেহেতু আমি শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের তথ্য নিয়ে ওয়াটসআপ গ্রুপে যুক্ত করে পরবর্তীতে সবাইকে নিয়ে প্রথম ১০ জুলাই রামপুরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি সফল করি। ১৭ তারিখ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল বন্ধ করে দিলে ১৮ তারিখে আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সারা ঢাকা শহরে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলি। পরবর্তীতে মার্চ টু প্রেসক্লাব, মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিগুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টদের সংগঠিত করে সফল করি। ৩৬ জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত মিরপুর, উত্তরা, বাড্ডা, রামপুরা, নতুন বাজার এরিয়াগুলোতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সংঘঠিত করে আন্দোলনকে সফল করতে ভূমিকা পালন করি এবং আন্দোলন চলাকালে ঢাকার ২৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কমিটি গঠন করে দীর্ঘ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিই।
বাসস : জুলাইকে একাত্তরের মুখোমুখি দাঁড় করানোর একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি?
আসাদ বিন রনি : জুলাইকে একাত্তরের মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোন কারণ আমি দেখি না। বরং আমি জুলাইকে একাত্তরের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখি। ৭১ না হলে তো জুলাই আসতো না। আর একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন না হওয়ার ফলেই আজকে জুলাইয়ের মতো একটা রক্তাক্ত মুহূর্ত পার করতে হয়েছে। যদি আবার এই জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে সফল হতে না দেওয়া হয় তাহলে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ আরেকটি মুক্তি সংগ্রামের পথে হাঁটতে পিছপা হবে না।
বাসস : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসাদ বিন রনি : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।