শিরোনাম

ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির পূর্বাভাস ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় নতুন ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে। এর আগে টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় চার দেশে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
সিবোলগা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক করেছে যে, সুমাত্রা দ্বীপের তিনটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ‘মধ্যম থেকে ভারী’ বৃষ্টি হতে পারে।
বৃষ্টি বুধবার রাতেই শুরু হয়েছে। যদিও তা গত সপ্তাহের মতো তীব্র নয়, তবুও আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
৫৪ বছর বয়সি সাবানদি উত্তর সুমাত্রার পানডানে একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এএফপি’কে বলেন, আমরা ভয় পাচ্ছি, হঠাৎ যদি বৃষ্টি শুরু হয়, বন্যা আবার হতে পারে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইন্দোনেশিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩৬ জনে। এর বেশিরভাগই উত্তর সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশে মারা গেছে।
তিনি আরও জানান, ৮ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৫০০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছে। দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শ্রীলঙ্কায় পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হবে।
কেন্দ্রীয় ক্যান্ডি অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় ভূমিধসের সতর্কতা আবার জারি করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের বাড়ি না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ভেজা পাহাড়ি ঢাল ধসে পড়তে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার হাদাবিমা গ্রামে নিখোঁজদের খোঁজার সময় বিধ্বস্ত ছয়টি বাড়ি থেকে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় অন্তত ৪৭৯ জন মারা গেছে এবং শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।