শিরোনাম

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী দেশ দক্ষিণ সুদানের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা তীব্র অনাহারের মুখোমুখি হয়েছে। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বুধবার জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো সহায়তা কমিয়ে দেওযায় দেশটির এই অবস্থার মোকাবেলা করছে। দেশটি এত কম মানবিক সাহায্য অতীতে কখনও পায়নি।
দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো সাহায্য বাজেট কমিয়ে দেওয়ার ফলে দক্ষিণ সুদানের ২০২৫ সালের জন্য ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের মানবিক পরিকল্পনার মাত্র ৪০ শতাংশ পেয়েছে।
অক্সফাম আরো জানায, দক্ষিণ সুদানে এখন প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তাদের বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশনের খুব কম সুবিধা রয়েছে। এপ্রিলের মধ্যে ৭৫ লাখ মানুষ এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
দক্ষিণ সুদানের সম্পদশালী অভিজাতরা তেল সম্পদ চুরির মতো দুর্নীতির ফলে দেশটিতে প্রায় কোনও মৌলিক পরিষেবা নেই।
অক্সফামের দক্ষিণ সুদানের কান্ট্রি ডিরেক্টর শবনম বালুচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটা এমন একটা অবস্থা, যেন বিশ্ব এমন এক সময় তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, যখন বেঁচে থাকার জন্য তাদের সবচেয়ে বেশি সাহায্যের প্রয়োজন। এমন এক মুহূর্তে বিশ্ব তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে, যখন তাদের অস্তিত্ব ঝুঁকির মুখে রয়েছে।’
দক্ষিণ সুদান ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের পরপরই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বেধে যায়। পাঁচ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে ফলে দেশটির দুই মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয় এবং শান্তি চুক্তি বাতিল হওয়ার সাথে সাথে এ বছর আবারও নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদানের লাখ লাখ শরণার্থীকেও দক্ষিণ সুদান আশ্রয় দিচ্ছে।
সীমান্ত শহর রেঙ্কের ট্রানজিট সেন্টারে প্রতিদিন ১ হাজার মানুষ আসে।
অক্সফামকে আগামী মাসে সেখানে তাদের কার্যক্রম ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনতে বাধ্য করা হচ্ছে।
দাতব্য সংস্থাটি জানিয়েছে যে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন তহবিল না পেলে, তারা সম্পূর্ণভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে।