বাসস
  ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৬

আফগানিস্তানে আফিম চাষ ২০ শতাংশ কমেছে : জাতিসংঘ

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আফগানিস্তানে ২০২৫ সালে আফিম চাষ আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। একইসঙ্গে বৈশ্বিক সংস্থাটি সিন্থেটিক ড্রাগ উৎপাদন ও পাচার বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছে।

কাবুল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালে দেশটিতে আফিম চাষে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর (ইউএনওডিসি) থেকে প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফিম চাষের জন্য বরাদ্দ জমির পরিমাণ ২০২৪ সালের ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর থেকে কমে ২০২৫ সালে ১০ হাজার ২০০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।

ইউএনওডিসি’র তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটিতে আফিম চাষের জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লাখ ৩২ হাজার হেক্টর। ২০২৫ সালে আফিম উৎপাদন হয়েছে আনুমানিক ২৯৬ টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩২ শতাংশ কম।

২০২৪ সালে আফিম বিক্রি থেকে কৃষকের আয় ছিল ২৬০ মিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে কমে ১৩৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ আফিম থেকে আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

ইউএনওডিসি সতর্ক করে বলেছে, সিন্থেটিক ড্রাগ, বিশেষ করে মেথামফেটামিন উৎপাদন ও কার্যক্রম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংস্থাটি আরো বলেছে, সিন্থেটিক ড্রাগ এখন সংগঠিত অপরাধচক্রের নতুন ব্যবসায়িক মডেল হয়ে উঠেছে। কারণ, এগুলোর উৎপাদন তুলনামূলকভাবে সহজ, শনাক্ত করা কঠিন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রতি তুলনামূলকভাবে সহনশীল।

জাতিসংঘ বারবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আফগান কৃষকদের আফিম বাদ দিয়ে অন্য ফসল ও জীবিকায় রূপান্তরে সহায়তা করা হয়। তালেবান সরকারও একই অনুরোধ জানিয়েছে।

ইউএনওডিসি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার পর অনেক কৃষক শস্য ও অন্যান্য ফসল চাষে মনোনিবেশ করেন। তবে বৈরী আবহাওয়া, যেমন—খরা বা কম বৃষ্টিপাতের কারণে ৪০ শতাংশের বেশি কৃষিজমি অনাবাদি পড়ে থাকে।

২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার ফলে আফিম চাষ তালেবান নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণাঞ্চলে না হয়ে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়।

২০২৪ সালের মে মাসে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাদাখশান অঞ্চলে পপি ক্ষেত ধ্বংস করতে পাঠানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কৃষকের সংঘর্ষে কয়েকজন নিহত হয়। এই অঞ্চলে আফিম নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়।