শিরোনাম

ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রার প্রতিষ্ঠিত দল ফিউ থাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তার ভাতিজাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে আজ মনোনয়ন দিয়েছে।
ব্যাংকক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সি থাকসিন দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তার দল ফিউ থাই আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ইয়দচানান ওংসাওয়াতকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
৪৬ বছর বয়সি ইয়দচানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী সোমচাই ওংসাওয়াত এবং থাকসিনের বোন ইয়াওয়াপা ওংসাওয়াতের সন্তান।
আজ মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, থাকসিনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে দলের জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে, যা জনগণের কল্যাণে কাজে লাগবে।
সাম্প্রতিক সময়ে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুতির প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা নীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ইয়দচানান বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব হবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে হবে।
অধিকৃত তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ১৬ জন থাই সেনা, একজন থাই নাগরিক এবং ১৫ জন কম্বোডিয়ার সাধারণ মানুষ। প্রায় ৮ লাখ মানুষ উভয় দেশে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
২০১৪ সালে ইয়দচানান রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং সিনাওয়াত্রা পরিবারের উত্তরাঞ্চলীয় ঘাঁটি চিয়াং মাই থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তবে থাকসিনের বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা ভোটকেন্দ্র অবরোধ করায় আদালত ওই নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে।
ইয়দচানান যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বর্তমানে থাইল্যান্ডের মাহিদোল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তার নামে বেশ কয়েকটি চিকিৎসা যন্ত্রের পেটেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত হুইলচেয়ার’ এবং ‘মস্তিষ্কভিত্তিক ঘুম সতর্কতা ব্যবস্থা’।
গত দুই দশক ধরে শিনাওয়াত্রা পরিবার থাইল্যান্ডের সামরিক ও রাজতান্ত্রিক অভিজাতদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তাদের জনমুখী রাজনীতি দেশটির প্রচলিত সামাজিক কাঠামোর জন্য হুমকি হিসেবে দেখা হয়।