বাসস
  ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৩২
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫২

তরুণদের রক্ষা করতে দেশবাসীকে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

মঙ্গলবার বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সিএ প্রেস উইং

ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দেশের তরুণদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সুরক্ষিত থাকলে আমরা সবাই ও প্রিয় মাতৃভূমি সুরক্ষিত থাকবে।

আজ মঙ্গলবার বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের রক্ষা করুন। তাহলে আমরা সবাই এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষা পাবে। যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে তারা বুঝে গেছে তরুণ যোদ্ধারা তাদের পুনরুত্থানের পক্ষে ভীষণ রকম বাধা। এই অস্ত্রহীন, ভীতিহীন, ব্যক্তিগত স্বার্থ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন—দৈনন্দিন এই চেহারার ছেলেমেয়েদের নিয়ে তাদের সাংঘাতিক ভীতি।’

বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে ভাষণটি সম্প্রচার করে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাদের লক্ষ্য হলো নির্বাচন আসার আগেই পথের এই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলা, নিজেদের রাজত্ব আবার কায়েম করা। তাদের বন্ধুরা যতদিন তাদের সঙ্গে আছে ততদিন তারা এই স্বপ্ন দেখবে। তিনি বলেন, নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বন্ধুরা সমর্থন জোগাতে বেকায়দায় পড়বে। সেজন্যই-তো এত তাড়াহুড়ো।

তিনি বলেন, তারা চায় নির্বাচনের আগেই তাদের ফিরে আসা নিশ্চিত করতে। নানা ভঙ্গিতে এটা তারা করবে। এই চোরাগোপ্তা খুন করার উদ্যোগ তার একটা রূপ। আরও কঠিনতর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের প্রস্তুতি আছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর সাম্প্রতিক হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এর সঙ্গে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাইকে জোর গলায় বলতে হবে—তরুণদের রক্ষা করা হবে। যারা এখনো পুরোনো আমলের দাসত্ব মেনে চলছে, তাদের সেই দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে’।

তিনি বলেন, উৎসবমুখর,শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করে আমরা সবাই মিলে দেশের ওপর আমাদের পরিপূর্ণ দখল প্রতিষ্ঠিত করবো। নির্বাচন অব্দি আর বাকি মাত্র দু’মাস। আমরা তাদের উপর নজর রাখবো এবং বাকি দিনের প্রতিটি দিন উৎসবমুখর করে রাখবো। যেহেতু আমাদের কিশোর কিশোরী তরুণ তরুণীদের মনে কোনো ভয়ডর নেই, তাই তারা নির্বাচনের আগের দু’মাসের প্রতিটি মুহূর্তকে উৎসবমুখর করে রাখবে। সব রকমের হিংসা, কোন্দল থেকে দেশকে বাঁচিয়ে রাখবে।