বাসস
  ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪:৪০

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িতদের নিতে অস্বীকৃতি বুরকিনা ফাসোর

ঢাকা, ১০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : পশ্চিমা-বিরোধী জান্তা শাসিত বুরকিনা ফাসো এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত হওয়া লোকজনকে গ্রহণ করতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে প্রত্যাখ্যান করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর অভিবাসন দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে অভিবাসীদের বিতাড়িত করে এমন দেশে পাঠানো হচ্ছে যে দেশের সঙ্গে বিতাড়িত হওয়াদের মূল দেশের কোনো সম্পর্ক নেই।

সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ ইসোয়াতিনি, ঘানা, রুয়ান্ডা এবং দক্ষিণ সুদান যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত লোকজনকে গ্রহণ করেছে।

তবে, বৃহস্পতিবার রাতে বুরকিনা ফাসোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারামোকো জিন-মেরি ট্রাওরে জাতীয় টেলিভিশনে বলেন, তারা ওয়াশিংটনের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই, এই প্রস্তাবটিকে আমরা অশোভন ও মর্যাদাহানিকর মনে করছি। এটি আমাদের মর্যাদার নীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থি।’

এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির রাজধানী ওয়াগাদুগুতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ঘোষণা করে যে, বুরকিনা ফাসোর নাগরিকদের জন্য নিয়মিত ভিসা পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

এর ফলে বুরকিনাবি নাগরিকদের এখন থেকে প্রতিবেশী দেশ টোগোর রাজধানী লোমে গিয়ে ভিসা সংক্রান্ত কাজ সারতে হবে।

জ্যাঁ-মারি ট্রাওরে প্রশ্ন রাখেন, ‘এটা কি আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটা উপায়? এটা কি ব্ল্যাকমেইল? যাই হোক না কেন, বুরকিনা ফাসো হলো মর্যাদার দেশ, একটি গন্তব্য, বহিষ্কারের জায়গা নয়।’

বুরকিনা ফাসোর শাসক ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরে, নিজেকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী একজন প্যান-আফ্রিকান শক্তিশালী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তিনি তার সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্স এবং বৃহত্তর পশ্চিমা বিশ্বকে এড়িয়ে চলেছেন। এর পরিবর্তে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।