শিরোনাম

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জর্ডান থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রবেশের সময় কানাডার পার্লামেন্টের ছয় সদস্যকে বাধা দিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ইসরাইল অভিযোগ করে বলেছে, প্রতিনিধি দলটি একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’র পৃষ্ঠপোষকতায় এই সফর করছেন।
মন্ট্রিল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
কানাডার বামপন্থী দল ‘নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি’র বিরোধী দলীয় এমপি জেনি কোয়ান এএফপি-কে বলেন, ইসরাইলি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির সংসদ সদস্য ইকরা খালিদকে ‘কয়েকবার ধাক্কা’ দিয়েছেন।
সংসদ সদস্যদের এই সফরের আয়োজক ছিল ‘কানাডিয়ান-মুসলিম ভোট’ নামের একটি দাতব্য সংস্থা।
কানাডায় নিযুক্ত ইসরাইলি দূতাবাস এএফপি-কে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই দাতব্য সংস্থাটি ‘ইসলামিক রিলিফ কানাডা’র কাছ থেকে তহবিল পায়।
এই প্রতিষ্ঠানটি ‘ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ (আইআরডব্লিউ)’র একটি সহযোগী শাখা, যাকে ইসরাইল ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
তবে আইআরডব্লিউ দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের দেওয়া এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
তাদের দাবি, হামাসের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা নেই।
জেনি কোয়ান জানান, সফর সম্পর্কে তারা আগেভাগেই ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন। তাদের সফরসূচিতে বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা এবং ফিলিস্তিনি ও ইহুদি সুশীল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল।
এক বিবৃতিতে কোয়ান বলেন, ‘কানাডা সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইল সরকারকে এই সফরের বিষয়ে আগেই জানিয়েছিল। এমনকি পশ্চিম তীরে প্রবেশের জন্য প্রাথমিক ভ্রমণ অনুমোদনও (ইটিএ) দেওয়া হয়েছিল।’
কিন্তু মঙ্গলবার অ্যালেনবি ব্রিজ সীমান্ত পার হওয়ার সময় পুরো প্রতিনিধি দলকেই সেখানে আটকে দেওয়া হয়।
কোয়ান এএফপি’কে আরও বলেন, কানাডা ছাড়ার আগেই তিনি এমন বাধার আশঙ্কা করেছিলেন। কারণ গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এই সফর অনুমোদিত হওয়ার পর তিনি শঙ্কা ঝেড়ে ফেললেও, শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্য হলো।
বর্তমানে এই প্রতিনিধি দলটি জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ফিরে গেছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, কানাডীয় নাগরিকদের সঙ্গে এ ধরনের অসদাচরণের বিষয়ে অটোয়া ইসরাইলের কাছে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে।