শিরোনাম
ঢাকা, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নীতিগত পরিবর্তনের কারণে বিপজ্জনক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করার প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এতে করে মূল লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হবে।
প্যারিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
দুই বছর আগে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ সীমিত করার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করে আন্তর্জাতিক মহল। তবে, আইইএ বলেছে, তারা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে না।
গত বছর আইইএ দেশগুলোকে জ্বালানির বিষয়ে বলেছিল, ৫ হাজার ৫০০ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ যোগ করার মাধ্যমে বিশ্ব সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে আসবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর কর ঋণ বন্ধ করে দেওয়ায় এবং প্রকল্পগুলোর ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণের কারণে আইইএ যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তাদের পূর্বাভাস প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়েছে।
এটি বলেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় চীনের এ ধরনের বহু প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা হ্রাস করেছে।
আইইএ বলেছে, চীন এখনো নবায়নযোগ্য জ্বালানির বেশিরভাগ প্রবৃদ্ধির নেপথ্যের কারণ। দেশটি নির্ধারিত সময়ের পাঁচ বছর আগেই তাদের ২০৩৫ সালের বায়ু ও সৌরবিদ্যুতের লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে।
আইইএ বলেছে, বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক সম্ভাবনা রয়েছে। তারা ভারতকে ইঙ্গিত করে বলেছে, দেশটি ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে রয়েছে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবৃদ্ধির বাজারে পরিণত হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে সক্ষমতা ২.৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে।’
তারা মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার জন্য পূর্বাভাস ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। ইউরোপে, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড ও স্পেনের পূর্বাভাসও আরো বেশি সংশোধিত হয়েছে।
আইইএ অনুমান করেছে, গত পাঁচ বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রায় ৮০ শতাংশ সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে, তারপরে বায়ু, পানি ও ভূ-তাপীয় শক্তির মাধ্যমে হয়েছে।
আইইএ জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো নীতিগত পরিবর্তনের কারণে অফশোর বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা কম সংশোধিত হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি দেশগুলের বৃহত্তর আর্থিক ও জ্বালানি নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করছে। আইইএ জানায়, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ইতোমধ্যেই অনেক দেশে জ্বালানি আমদানির চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে, জ্বালানি বৈচিত্র্য ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে।’
এতে আরো বলা হয়, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের বিরতিহীন ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দেশগুলোকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের নমনীয়তা বৃদ্ধি করতে হবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনের ৩০ শতাংশ বা বর্তমান অংশের দ্বিগুণ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।