শিরোনাম
ঢাকা, ১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : সুদানের যুদ্ধকালীন রাজধানী পোর্ট সুদানের উপর দিয়ে ড্রোন উড়ে যাওয়ার সময় শনিবার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একসময়ের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এই নগরীর উপর দিয়ে ড্রোন উড়ে যাওয়ার সময় সেটি প্রতিহত করায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। পোর্ট সুদান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে, সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
সেনা-সমর্থিত সরকার নিয়ন্ত্রিত পোর্ট সুদান, এই মাসের শুরুতে প্রথমবারের মতো ড্রোন হামলার শিকার হল। এই হামলার জন্য আরএসএফ-কে দায়ী করা হয়েছে।
দেশের শেষ কার্যকর বেসামরিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রধান জ্বালানি ডিপো সহ অবকাঠামোতে ড্রোন হামলার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে জানান, প্রায় প্রতিদিনের হামলা শনিবার পর্যন্ত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর নগরীরর বাসিন্দারা এর উত্তর ও পশ্চিমে বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের শব্দ এবং আকাশে ড্রোন উড়ার শব্দ’ শুনতে পান।
যুদ্ধের শুরুতে সুদানের কর্তৃপক্ষ রাজধানী খার্তুম থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর পোর্ট সুদানে লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে।
দেশটিতে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ যারা ভয়াবহ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের প্রায় সমস্ত সাহায্য পোর্ট সুদানের মাধ্যমে সরবরাহ করে।
রক্তক্ষয়ী সুদানের এই গৃযুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘের মতে এ যুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতি সংকট তৈরি হয়েছে।
এটি সুদানকে কার্যকরভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে, সেনাবাহিনী কেন্দ্র, পূর্ব ও উত্তর দখল করেছে। অপরদিকে আধাসামরিক বাহিনী ও তাদের মিত্ররা প্রায় সমগ্র দারফুর ও দক্ষিণের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
মার্চ মাসে খার্তুমের নিয়ন্ত্রন হারানোর পর থেকে, আরএসএফ একটি দ্বিমুখী কৌশল গ্রহণ করেছে। তারা সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোয় দূরপাল্লার ড্রোন হামলা এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য হামলা চালানো হলে পাল্টা হামলার কেীশল অবলম্বন করেছে।
ড্রোন হামলা সুদানের সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্ব জুড়ে অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় হামলার ফলে লাখো লাখো মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, খার্তুমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে এতে চলতি মাসে প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।