শিরোনাম
ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের সময় ব্যবহৃত কাঠের বোর্ডে আঁকা প্রতিবাদী শিল্পকর্মগুলো এখন নীরব দলিল। মিনিয়াপোলিসের ২৮ বছর বয়সী কেন্ডা জেলনার-স্মিথ সেই শিল্পগুলো সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করছেন, যাতে ফ্লয়েডের উত্তরাধিকার অটুট থাকে।
মিনিয়াপোলিস থেকে এএফপি জানায়, বোর্ডগুলো একসময় শহরের দোকানপাট ভাঙচুর থেকে রক্ষা করতে লাগানো হয়েছিল। পরে এগুলো রূপ নেয় রঙ, লেখা আর শিল্পে, যেখানে লেখা ছিল ‘আমি, শ্বাস নিতে পারছি না’। আঁকা ছিল রঙিন হৃদয় ও রংধনু, ফুটে উঠেছিল প্রতিবাদ, বেদনা ও আশার কাহিনি।
জেলনার-স্মিথ বলেন, ‘প্রতিবার যখন এগুলোর দিকে তাকাই, নতুন কিছু আবিষ্কার করি। যেন প্রতিবাদের আগুনটা আবার প্রাণ ফিরে পায়।’
তিনি এখন পর্যন্ত ৬০০-এর বেশি বোর্ড সংগ্রহ করেছেন তার ‘সেভ দ্য বোর্ডস’ প্রকল্পে, যেগুলো মিনিয়াপোলিসে দুটি বড় স্টোরেজ ইউনিটে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এখন তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, এই বোর্ডগুলোকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান খুঁজে পাওয়া। কারণ, যে অনুদানে এগুলো রাখা হচ্ছিল, তা শেষের পথে।
প্রদর্শনের জন্য কিছু বোর্ড ইতিমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর বেশিরভাগ বোর্ডের ছবি তুলে রাখা হয়েছে অনলাইন আর্কাইভে।
জেলনার-স্মিথ বলেন, ‘এই শিল্পগুলো প্রতিরোধের ভাষা, গল্প বলার উপায়। এগুলো এখনো বলার মতো গল্প বয়ে নিয়ে চলেছে, আর এখনও আমাদের অনেক কাজ বাকি।’
মিনিয়াপোলিসে আরেকটি বড় উদ্যোগ ‘মেমোরালাইজ দ্য মুভমেন্ট’-এর মাধ্যমে ৩২ বছর বয়সী লিসা কেলি সংগ্রহ করেছেন এক হাজারের বেশি বোর্ড। তিনিও শুরু করেছিলেন ২০২০ সালের প্রতিবাদের সময়, বলেছিলেন, ‘অনুপ্রেরণার জন্য নয়, বরং মানসিক আঘাত থেকেই আমি এগুলো সংগ্রহ করতে শুরু করি।’
‘একজন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। আর এই মুরালগুলো আমার মাঝে আশা জাগিয়েছিল,’ বলেন কেলি।
রোববার জর্জ ফ্লয়েড স্কয়ারে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রায় ৫০টি বোর্ড প্রদর্শন করা হয়। সেখানে আসা দর্শনার্থীদের একজন, ৪৩ বছর বয়সী ডারনেলা থম্পসন বলেন, ‘এসব বোর্ড খুবই গভীরভাবে আমাকে নাড়া দেয়। অনেক দুঃখ জাগে, কারণ এই অন্যায় থেমে নেই, চলছেই।’