শিরোনাম

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) আজ ‘এ আই: উদ্ভাবন ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা’ বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ও প্রধান বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ পাকিস্তানের কমস্যাটস ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদের একাডেমিক এ্যাডমিনিস্ট্র্রেটর ও তমঘা-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কারে ভূষিত ডা. হাম্মাদ ওমর।
সেমিনারে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এআই এর ভূমিকা, সম্ভাবনা, অগ্রগতি, উন্নয়ন, এআই উদ্ভাবনে গবেষণার অগ্রাধিকার, সহযোগিতামূলক পথ চিহ্নিতকরণ, ভবিষ্যৎ গবেষণার ক্ষেত্র, প্রযুক্তি-সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা গঠনের রূপরেখাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
এআই গবেষক ও প্রযুক্তি উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ডা. হাম্মাদ ওমর (তমঘা-ই-ইমতিয়াজ) তার বক্তব্যে বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা গবেষণা, বায়োমেডিক্যাল ডেটা বিশ্লেষণ, রোগ-নির্ণয়ের স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় এআই-এর দ্রুত অগ্রগতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন আর ভবিষ্যৎ নয়; এটি বর্তমানের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে নতুন স্তরে উন্নীত করার শক্তিশালী মাধ্যম। বাংলাদেশে এর প্রয়োগ বাড়াতে গবেষণা সহযোগিতা ও নীতি-সমন্বয় জরুরি।
চিকিৎসা-শিক্ষা, গবেষণা ও রোগীসেবায় এআই-সমর্থিত প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা সময়ের দাবি। বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান জনবলের উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানবসম্পদ তৈরি, সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এআই প্রযুক্তি কাজে লাগানোর বিরাট সুযোগ রয়েছে।
বিএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, মেডিক্যাল সেক্টরের বা স্বাস্থ্যখাতের সকল ক্ষেত্রে এআই অবদান রাখতে পারে। এআই এর ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশে বিএমইউ নেতৃত্ব দেবে এটাই কাম্য। বিএমইউতে রোগীর সংখ্যা অনেক, প্রচুর ডাটা রয়েছে। যার মাধ্যমে প্রচুর গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
বিএমইউর সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা, চিকিৎসাসেবা ও উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষায় নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব। দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সে লক্ষ্য পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের পারস্পারিক সহযোগিতা এই লক্ষ্যে পৌঁছানোকে সহজতর করবে। আজকের উদ্যোগও তারই অংশ।
বিএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এআই একটি প্রযুক্তি। এআই বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করা জরুরি।
অনকোলজি, রেডিওলজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে এ আই প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। আগেভাগে রোগ নির্ণয়, দ্রুত নির্ভুল রোগ নির্ণয়ে এআই অবদান রাখতে পারে। তাই এই বিষয়ে চিকিৎসকদেরও প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা আবশ্যক।
অন্ষ্ঠুানে আরো বক্তব্য রাখেন মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ শামীম আহমেদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ ইব্রাহীম সিদ্দিক, প্রিভেনটিভ এন্ড স্যোসাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক, পিএইচডি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাবলিক হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের ডা. ফারজানা ইসলাম ও ডা. এসএম শহীদুল হক রাহাত। অনুষ্ঠানে নিউনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল মান্নান, পাবলিক হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ রাসেল আহমেদ সহ বিভাগের শিক্ষক, রেসিডেন্টবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।