বাসস
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৩৮

বিএমইউতে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিনে ১৭০ শিক্ষক-চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ

ছবি: বাসস

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) এ পর্যন্ত ৩৪টি বিভাগের মোট ১৭০ জন শিক্ষক ও চিকিৎসককে ‘এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন’ (প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা) বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আইকিউএসি’র উদ্যোগে আটটি বিভাগের শিক্ষক ও চিকিৎসকদের নিয়ে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সনদ বিতরণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. নুরুন নাহার খানম এবং সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীনে মুজাহিদ মোহাম্মদ ফারুক ওসমানী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন প্র্যাকটিস চিকিৎসা ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে এটি রোগীর মৃত্যুহারও কমাতে সাহায্য করবে। চিকিৎসক সমাজ যদি প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা চর্চায় উৎসাহিত হয়, তবে একই রোগীর জন্য বিভিন্ন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ওষুধ ও ইনভেস্টিগেশনে অপ্রয়োজনীয় তারতম্য থাকবে না। এটি মেডিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল অডিটের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান সরবরাহ করবে এবং বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকাশে বড় অবদান রাখবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা শিক্ষক ও চিকিৎসকদের নিজেদের দক্ষ করে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এটি চিকিৎসা শিক্ষায় গুণগত মানোন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সঠিক জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে উন্নতির শিখরে পৌঁছানো সম্ভব।

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. মারিয়া মাহতাব বলেন, এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন প্রশিক্ষণ কর্মশালাকে দেশের সব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও ইনস্টিটিউটে সম্প্রসারণ করা জরুরি। এ প্রশিক্ষণকে জাতীয় কর্মসূচিতে রূপান্তর করা সময়ের দাবি।

আজকের কর্মশালায় রিউমাটোলজি, হেপাটোবিলিয়ারি-প্যানক্রিয়েটিক ও লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সার্জারি, শিশু কার্ডিওলজি, ভাইরোলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কনজারভেটিভ ডেন্টিস্ট্রি এন্ড এন্ডোডনটিক্স, গাইনীকোলজিক্যাল অনকোলজি, অবসটেট্রিকস এন্ড গাইনীকোলজি এবং রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোকাইনোলজি এন্ড ইনফার্টিলিটি বিভাগের ২৯ জন শিক্ষক ও চিকিৎসক অংশ নেন। এ ছাড়া হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. মারিয়া মাহতাব ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. মীর রাশেখ আলম অভিও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের প্রশিক্ষণ চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ঘটিয়ে স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।