শিরোনাম

জয়পুরহাট, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জয়পুরহাটের মেয়ে নাফিসা ইসলাম জাতীয় সাবাতে চাম্পিয়নশীপে অংশ নিয়ে স্বর্ণ জিতে নিজ জেলাকে তুলে ধরেছে সারা বাংলাদেশে। জাতীয় পর্যায় পেরিয়ে এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজেকে পরিচিত করে তুলতে চান নাফিসা।
জয়পুরহাট শহর থেকে ১৫ কিমি দুরে জামালগঞ্জ বাজার ছাড়িয়ে আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের পালশা গ্রামের মেয়ে নাফিসা ইসলাম। পোল্ট্রি খামারী বাবা মইনুল ইসলাম ও গৃহিনী মা শবনম ইসলামের ৪ মেয়ে। বড় মেয়ে এলএলবিতে পড়ে, ২য় মেয়ে এবার এসএসসি দিয়েছে। ছোট মেয়ে নার্সারীতে পড়ছে। বাবা-মার ৩য় সন্তান নাফিসার বয়স ১৩ বছর।
শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়ে নাফিসা। ছোটবেলা থেকেই নাফিসা খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ছোটবেলা থেকে তার কারাতের প্রতি আগ্রহ ছিল। ২০২৩ সালে কারাতে প্রশিক্ষনে ভর্তি হয় নাফিসা। বাংলাদেশ সেইসিম কাই সিতো রিউ কারাতে দো এসোসিয়েশনে ২০২৩ সালে হলুদ বেল্ট, ২০২৪ সালে সবুজ বেল্ট ও ২০২৫ সালে নীল বেল্ট অর্জন করে। এরপর গত বছর সাবাতে প্রশিক্ষনে অংশ নেয়। ২০২৪ সালে ৪র্থ জাতীয় সাবাতে চাম্পিয়নশীপে অংশ নিয়ে স্বর্ণ পদক অর্জন করে। গত ৩ বছরে সে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে একাধিক পুরস্কার জিতেছে। জয়পুরহাটের নিভৃত পল্লী থেকে উঠে এসে নাফিসা দেশের জেলার জন্য যে গৌরব অর্জন করেছে তা নিঃসন্দেহে জয়পুরহাটবাসীর জন্য গর্ব।
তার সাজানো রয়েছে বেশ কয়েকটি পুরস্কার, সার্টিফিকেট ও মেডেল। এমন কৃতিত্বে দারুন গর্বিত নাফিসা। আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে খেলে নাফিসা দেশের জন্য সুনাম আনতে চান।
নাফিসার বাবা মইনুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে জেলাতে ভাল খেলছে। সে ঢাকাতে গিয়ে জেলার জন্য স্বর্ণ পদক পেয়েছে। এখন সে কয়েকটি অনুশীলনে অংশ নিচ্ছে। আগামীতে যেন ভাল খেলোয়ার হিসেবে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পাওে, সেজন্য আমি সকলের দোয়া কামনা করছি।
নাফিসার মা শবনম ইসলাম জানান, আমার মেয়ের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ আছে। তাকে পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। যাতে সে আগামীতে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারে। প্রতিদিন বাসা থেকে ১৫ কিমি দুরে শহরে নাফিসাকে নিয়ে যাই অনুশীলনে অংশ নিতে। আগামীতে আমার মেয়ে দেশের জন্য ভাল কিছু করবে এই প্রত্যাশা করছি।
জয়পুরহাট জেলার নিভৃত পল্লী থেকে উঠে আসা নাফিসা এখন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায় ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক ভাবেও নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। এজন্য প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা ও সঠিক দিক নির্দেশনা। জেলা ক্রীড়া এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নাফিসাদের মত খেলোয়াড়দের সামনে এগিয়ে যাবার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে।