বাসস
  ০৫ মে ২০২৫, ১৫:৩৩
আপডেট : ০৫ মে ২০২৫, ১৬:২৪

একজন উপযুক্ত ক্রীড়াবিদ তৈরির জন্য তারুণ্যের উৎসব হতে পারে ভালো প্ল্যাটফর্ম : তপু বর্মন

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সেন্টার-ব্যাক তপু বর্মন -সংগৃহীত ফাইল ছবি

ঢাকা, ৫ মে ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে প্রথমবারের মত তরুণ খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করার প্রয়াসে পালিত হয়েছে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫। বছরের শুরুতে দেশব্যাপী আয়োজিত এই উৎসবে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। পুরো দেশজুড়ে রেকর্ড সংখ্যক ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে নিজেদের প্রতিভার জানান দিয়েছে।

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিভিন্ন আয়োজনে কার্যত অন্তর্বর্তী সরকারের সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য ছিল। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায় থেকে নতুন খেলোয়াড় তুলে এনে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদেরকে ভবিষ্যতের যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন ফেডারেশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। 

বিভিন্ন ইভেন্টে এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজনে খেলোয়াড়রাও বেশ উচ্ছ্বসিত। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সেন্টার-ব্যাক তপু বর্মন মনে করেন বর্তমান সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।

বাসস’র সাথে আলাপকালে তপু আরো বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বর্তমান সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ অবশ্যই ইতিবাচক। এর প্রশংসা করতেই হয়। আমি মনে করি এটা শুধুমাত্র ঐ নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দেই উৎসাহিত করবে না, বরং সাথে সাথে তার পরিবারকেও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। কারন এই বয়সে একজন খেলোয়াড়েরর তার প্রতিভা প্রমানের জন্য এটি একটি অনেক বড় মঞ্চ। আমি মনে করি এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মধ্যে আগ্রহ তৈরী হবার পাশাপাশি প্রকৃত খেলোয়াড়ও উঠে আসবে।’

তপু আরো বলেন, ঢাকার বাইরে যে সমস্ত তরুন ক্রীড়াবিদরা রয়েছেন তারা মূলত ফুটবল, ক্রিকেট, হকির মত খেলাগুলোর প্রতি বেশী আগ্রহী থাকে। তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে এই ধরনের খেলাগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরো প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসার একটি সুযোগ থাকবে। 

তরুণ বয়স থেকেই সারা বিশ্বে খেলোয়াড় বাছাইয়ের মূল প্রক্রিয়া শুরু হয়। আমাদের দেশেও এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে তিন থেকে ছয় মাস গুনগত ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে একজন তরুন তার মূল প্রতিভাকে আরো ঝালাই করার সুযোগ পায়। আর এভাবেই ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জন্য সে যোগ্য হয়ে উঠতে পারে। 

তপু বলেন, ‘তরুণ বয়সে বেসিক টেকনিকগুলো শেখাটা খুবই জরুরী। আমি মনে করি তারুণ্যের উৎসব এই ধরনের শিক্ষার একটি সঠিক প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে ভাল খেলোয়াড় বাছাই করারও সুযোগ তৈরী হবে।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার বলেন তারুণ্যের উৎসব শুরু করার মাধ্যমে সরকার দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সঠিক একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে এই ধরনের উৎসবের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরী। এর ফলে প্রতিটি ইভেন্টেই আরো বেশী খেলোয়াড় তৈরী হবে, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেই কাজে আসবে