বাসস
  ১৩ আগস্ট ২০২৫, ১৫:১৯

চানখারপুলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ শেষ হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দেন চানখারপুলে পুলিশের গুলিতে নিহত মো. ইয়াকুবের মা, চাচা ও নিহত ইসমামুল হকের বড় ভাই মো. মহিবুল হক।

এই তিন সাক্ষী শেখ হাসিনাসহ এই মামলার অপর আসামিদের বিচার চেয়েছেন। এই মামলায় ট্র্যাইব্যুনাল পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেছেন।

আজ ট্র্যাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এসময় শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটরসহ অপর প্রসিকিউটর ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল এই মামলায় সাক্ষী দেন রাজধানীর বোরহান উদ্দিন কলেজের শিক্ষিকা আঞ্জু আরা ইয়াসমিন ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের বাবা শেখ জামাল হাসান। গত সোমবার প্রথম সাক্ষী দিন শহীদ আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। গতকাল এই মামলায় চিফ প্রসিকিউটর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের পর শহীদ আনাসের বাবা তার সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে তার জেরা করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। সেই সঙ্গে এই মামলার সূচনা বক্তব্যের ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

এই মামলায় যে আট আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলো: সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।

এই আসামির মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক। অন্য চারজন গ্রেফতার। গ্রেফতারকৃত চারজনকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। জাজ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দু’টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।