বাসস
  ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৫৭

ভারতের ঘটনার ভিডিও দিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শনাক্ত : বাংলাফ্যাক্ট

ঢাকা, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ভারতের হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে মৃতদেহ টেনে তোলার ভিডিওকে ‘জমায়াত নেতার নির্দেশে খুন’ করা হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে, যা মিথ্যা বলে শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ‘জামায়াত নেতার নির্দেশে হত্যাকাণ্ড’ বলে চালানো ভিডিওটি কার্যত ভারতের অন্য ঘটনার। জামায়াত নেতার কথামতো ফাইলে স্বাক্ষর করেননি বলে ‘একজন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করে অমানবিকভাবে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে তোলার দৃশ্য’ বলে দাবি করা একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, দুই ব্যক্তি একটি ভবনের সিঁড়ি দিয়ে উলঙ্গ একজনের দেহ উল্টো করে টেনে তুলছেন।

বাংলাফ্যাক্ট যাচাই করে দেখেছে, এ ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয়। প্রকৃতপক্ষে, চলতি বছরের ১১ আগস্ট ভারতের বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেত্তিয়া শহরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (জিএমসিএইচ) সিঁড়িতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ে। এটি সেই ঘটনার দৃশ্য।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির কিছু কি-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এনডিটিভি’র ওয়েবসাইটে গত বুধবার (১৩ আগস্ট) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একই দৃশ্য পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ আগস্ট বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেত্তিয়া শহরের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (জিএমসিএইচ) সিঁড়িতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় হাসপাতালটির সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিহারের পশ্চিম চম্পারণ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ধর্মেন্দ্র কুমার গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানটিকে জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালটির অধ্যক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে পাওয়া প্রতিবেদন চাওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, হাসপাতালটির মর্গ সহকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এতে এক পুলিশ সদস্যও জড়িত। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এসপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ভারতের হাসপাতালের সিঁড়ি দিয়ে মৃতদেহ টেনে তোলার ভিডিওকে ‘জমায়াত নেতার নির্দেশে খুন’ করা হয়েছে দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে, যা মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছে বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।