শিরোনাম

ঢাকা ১ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে সোমবার শুরু হল বিজয়ের মাসজুড়ে যাত্রাপালা প্রদর্শনী।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে নিবন্ধন করা যাত্রাদল প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে দলগুলোর যাত্রাপালা প্রদর্শনী চলবে।
সোমবার বিকেল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল ফটকে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি সচিব মো: মফিদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (রেজাউদ্দিন স্টালিন)। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক দীপক কুমার গোস্বামী। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, উপ পরিচালক, কর্মকর্তা এবং যাত্রাশিল্পে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা।
সচিব মফিদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠীর বৈচিত্রময় সংস্কৃতি রয়েছে। নন্দনমঞ্চে গত দুই ঈদের এবং বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান আয়োজনসহ সোহরাওয়ার্দী মুক্তমঞ্চে দুর্গাপূজা উৎসবের আয়োজন করেছি। আমরা যখন কোন অনুষ্ঠান করি সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়কে যুক্ত করি। একটা অন্তর্ভূক্তিমূলক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে এদেশে বসবাস করতে চাই।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত যাত্রাশিল্প শুধু বিনোদন নয়, শিক্ষাও থাকে।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক অনাচার, দুর্বৃত্তায়ন, সামাজিক বৈষম্য ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য যাত্রাশিল্প অনেক বড় জায়গা দখল করে আছে।
উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শিত হয় ‘মৃত্যুর চোখে জল’। যাত্রা পালাটি মঞ্চায়ন করে পাইকগাছা খুলনার ‘সূর্যতরুণ নাট্য সংস্থা’। পালাকার হিসেবে রয়েছেন দেবেন্দ্রনাথ এবং পরিচালনায় প্রণব মন্ডল। যাত্রাদলের মালিক গোপাল বৈরাগী।
মাসব্যাপী এই যাত্রাপালা প্রদর্শনীতে ৩১টি যাত্রাদল ৩১টি যাত্রাপালা মঞ্চায়ন করবে।
আগামীকাল শিবপুর নরসিংদীর নিউ জহুরা অপেরা মঞ্চায়ন করবে ‘কাশেম মালার প্রেম’। পালাকার শামসুল হক এবং পরিচালনায় রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রদর্শনীর টিকেটের মূল্য রাখা হয়েছে ১'শ টাকা। টিকেট বিক্রি হতে প্রাপ্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট যাত্রাদলকে দেওয়া হবে।
এছাড়াও প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে থাকছে দেশাত্মবোধক যাত্রাগানের কনসার্ট।
উল্লেখ্য, প্রতিদিনের প্রদর্শিত যাত্রাপালাগুলো জুরি বোর্ডের বিচারকদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।