শিরোনাম

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৬ সালে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রাক্কালে জেনেভা ভিত্তিক বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) দেশের বাণিজ্য রূপান্তর প্রক্রিয়ায় জোরালো সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ডব্লিউটিও’র উপ-মহাপরিচালক ঝাং জিয়াংচেন বাসসকে বলেন, বাংলাদেশের বাজার প্রবেশাধিকারে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং বাণিজ্যিক অবস্থান সুরক্ষায় সংস্থাটি একটি বিস্তৃত সহায়তা পরিকল্পনা ও রূপান্তরকাল নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণ ডব্লিউটিও’র এলডিসি গ্রুপের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। গত দুই বছরে সদস্য রাষ্ট্রগুলো উত্তরণ প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে দুটি প্রধান পদক্ষেপ নিয়েছে।’
প্রথমত, যেসব দেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা দিয়ে থাকে, তাদের উৎসাহিত করা হয়েছে উত্তরণের পরও একটি টেকসই রূপান্তরকাল বজায় রাখতে।
দ্বিতীয়ত, ডব্লিউটিও’র ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এলডিসি উত্তীর্ণ দেশগুলোর জন্য তিন বছরের রূপান্তরকাল নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে তারা ডব্লিউটিও’র নিয়মাবলি বাস্তবায়ন এবং এলডিসি-নির্দিষ্ট কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করতে পারে। ফলে ২০২৬ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সময় পাবে নিয়মের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে।
তিনি আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, জাপান এবং যুক্তরাজ্যসহ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদাররা ইতোমধ্যে তিন বছরের বাজার প্রবেশাধিকার রূপান্তরকাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশের বিদ্যমান আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তির (আরটিএ) আওতায় পাওয়া অগ্রাধিকার সুবিধাগুলোও বহাল থাকবে।
ডব্লিউটিও বাংলাদেশকে উৎসাহ দিচ্ছে অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উত্তরণের পরও দীর্ঘমেয়াদে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা নিশ্চিত করতে।
ঝাং জিয়াংচেন বলেন, ‘উত্তরণের পর বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সহায়তার জন্য ডব্লিউটিও বিভিন্ন টুলস ও সহায়তা প্রোগ্রাম চালু রেখেছে। যদি কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সমস্যায় পড়ে, তবে তারা ছাড়ের আবেদন করতে পারবে বা সংশ্লিষ্ট কমিটিতে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারবে।’
তিনি আরও জানান, ডব্লিউটিও’র চাহিদাভিত্তিক কারিগরি সহায়তা কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা এলডিসি উত্তরণের পর নিয়ম বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে এলডিসি গ্রুপ বর্তমানে আসন্ন ১৪তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ডব্লিউটিও সদস্যরা যে আরো পদক্ষেপ নিতে পারে তা খতিয়ে দেখছে, যাতে এলডিসি থেকে উত্তরণকারী সকল দেশের জন্য একটি বিস্তৃত ও মসৃণ রূপান্তর নিশ্চিত করা যায়।
এই উদ্যোগগুলো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সফল সংযুক্তি নিশ্চিত করতে ডব্লিউটিও’র প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন তিনি।a