বাসস
  ২৪ মে ২০২৫, ১০:২৬
আপডেট : ২৪ মে ২০২৫, ১০:২৯

ইইউ’র বিলাসী পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানি বিলাসী পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যা আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর হবে। এদিকে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের পর ইউরোপীয় বিলাসী পণ্যের শেয়ারের দাম অনেকটাই কমে গেছে।

ব্রাসেলস থেকে এএফপি এই খবর জানায়

গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ইইউ’র সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। তাই আমি আগামী ১ জুন থেকে সরাসরি ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুপারিশ করছি।

ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ইইউর সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন মাত্রা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। শুরুতে তিনি ইইউ পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন। তবে আলোচনার সুযোগ দিতে তা ১০ শতাংশে নামিয়ে ৮ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু তার আগেই শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দিলেন তিনি।

ইউরোপে হ্যান্ডব্যাগ, জুতা, ফ্যাশন আইটেম ও শ্যাম্পেনের মতো বিভিন্ন মূল্যবান ও বিলাসী পণ্য উৎপাদিত হয়। এই শিল্প মার্কিন বাজারের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল, যা এই বছর চীনা পণ্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় এই খাতের বড় ধরণের প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছিল।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর এসব পণ্যের শেয়ারদরে বড় পতন দেখা গেছে। মূলধনের দিক থেকে ফ্রান্সের বৃহত্তম তালিকাভুক্ত কোম্পানি এলভিএমএইচ ও হারমিসের শেয়ার যথাক্রমে প্রায় ৩ শতাংশ ও ৪ শতাংশ হারে কমেছে।

শুধু ইউরোপ নয়, আমদানি হওয়া অ্যাপলের আইফোনেও বাড়তি শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এক এক্স বার্তায় তিনি বলেছেন, আমি অনেক আগেই অ্যাপলের সিইও টিম কুককে জানিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া আইফোনগুলো অবশ্যই দেশেই তৈরি হতে হবে—ভারত বা অন্য কোথাও নয়। তা না হলে অন্তত ২৫ শতাংশ শুল্ক অ্যাপলকে দিতে হবে।

হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয়বার ফিরে আসার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশের ওপর শুল্ক আরোপ ও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তার মতে, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতকে চাঙা করবে এবং বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে দেশীয় কর্মসংস্থানকে রক্ষা করবে।

শুল্ক হলো একটি অভ্যন্তরীণ কর যা আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আরোপ করা হয় এবং এটি পণ্যের মূল্যের অনুপাতে নির্ধারিত হয়। এই কর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে পরিশোধ করতে হয়।

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির বাজারে প্রবেশে শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্প বলেছেন, যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রেই তৈরি বা উৎপাদিত, সেগুলোর ওপর কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না।