বাসস
  ২২ মে ২০২৫, ২০:৪৮

কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে রাকাব 

রাকাবের পরিচালনা পর্ষদের ৫৯২তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার সভাপতিত্ব করেন এর চেয়ারম্যান ডঃ মুহাম্মদ আলী। ছবি: বাসস

রাজশাহী, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) দেশের উত্তরপশ্চিম অঞ্চলে আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

বিশেষায়িত রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকটি দেশকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টাকে সম্পূরক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের ঋণ প্রদান করে আসছে।

আজ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৯২তম বোর্ড সভায় মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

বর্তমানে ৩৮৩টি শাখার মাধ্যমে, রাকাব রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলায় কৃষি খাত ও এর সকল উপ-খাতকে লক্ষ্য করে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে  বর্তমানে ব্যাংকটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে- যা তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। 

রাকাব কেবল দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি খাতের উন্নয়নই করেনি, বরং এর কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

রাকাব সদর দপ্তরের বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদা বেগম ও পরিচালক শহীদুল ইসলাম, খন্দকার আজিম আহমেদ, ড. আব্দুল হাই সরকার, ড. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া যোগ দেন। 

ওয়াহিদা বেগম বলেন, তারা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বত্র ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

গত অর্থবছরে তারা ২.৯৮ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে এবং সকল আর্থিক সূচকে প্রশংসিত সাফল্য অর্জন করেছে।

বর্তমানে, ব্যাংকটির লোকসানি শাখার সংখ্যা ১২টি হ্রাস পেয়ে ৪৮টিতে নেমে এসেছে। আগের অর্থবছরে লোকসানি শাখা ছিল ৬০টি।

তিনি আরও বলেন, তাদের ক্লায়েন্টরা ঘরে বসেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ও বিভিন্ন ইউটিলিটি পরিষেবার বিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছেন।

ব্যাংকের প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে- যে কোনো সময়ে ও যে কোনো জায়গা থেকে ব্যাংকিং লেনদেন, ইউটিলিটি পরিষেবার বিল পরিশোধ ও ঘরে বসে নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা।